পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন পেন্‌গুন দিবার বোধ হয় কোনো ব্যবস্থা নাই। এইজন্ত গবৰ্ণমেণ্ট কোনো প্রকার জীবন-বামার আইন জারি করিয়া কৰ্ম্মকেন্দ্রের মালিকদিগকে বাধ্য করিবার ব্যবস্থা করে নাই। কিন্তু পাশ্চাত্য সমাজের গলি-ঘোচে ও বাধ্যতামূলক বীমা-প্রথা আজ পচিশ ত্রিশবৎসর ধরিয়া জারি অাছে। জার্মাণ রাষ্ট্রবীর বিসমার্ককে দুনিয়ার এই নিয়মের জন্মদাতারূপে বিবৃত করা যাইতে পারে । so এই গেল পেনশুনের এক দিক । অপর দিক আরও বিচিত্র । ভারতে যে সকল লোক পেনস্তান পায়, তাহাদের আয়ু ফুরাইবা মাত্র সরকারী দায়িত্বও ফুরাইয়া যায়। কিন্তু পাশ্চাত্য মুল্লুকে বিধবা ( এবং পুত্র কন্যারাও বাইশ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত ) একটা নির্দিষ্ট হারে মৃত স্বামীর পেন্‌গুন ভোগ করিতে অধিকারী। পদ হিসাবে পেনশুনের হার বাধা আছে । কাজেই ভারতীয় বিধবার হাহুতাশ আজকালকার খ্ৰীষ্টিয়ান সমাজে দেখা যায় না । আমাদের বিধবারা যখন কাদে তখন তাহারা মরা-স্বামীর প্রতি সতীত্ব দেখাইবার জন্ত কঁাদে ? না অন্নচিন্তা চমৎকার বলিয়া কাদে ? এই প্রশ্নটা বাস্তব যন্ত্রের সাহায্যে বিশ্লেষণ করিয়া দেখিতে যুবক-ভারত অগ্রসর হউক। বিধবা-সমস্তার ভিতর যেসব আজগুবি হেঁয়ালি প্রবেশ করানো হইয়া থাকে,-কম-সে-কম চিন্তাক্ষেত্র হইতে সেই সব হেঁয়ালি দূরীভূত হইতে পারিবে। আর্থিক তাড়নার দীর্ঘশ্বাস বিধবার প্রাণ হইতে পেনগুন পাইবার পর ভারতীয় নারীত্বের অন্দরে আধ্যাত্মিকতা কতখানি আছে তাহার যাচাই করা সম্ভব হইবে। সেই যাচাইয়ের আখড়ায় পশ্চিমা

নারীরা ধীরে ধীরে আসিয়া দাড়াইতেছে। ভারতীয় নারী আধ্যাত্মিকতার

নবীন ডাকে সাড়া দিবার পর্য্যন্ত উপযুক্ত কিনা এখনো তাহ অনিশ্চিত ।