বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন দুনিয়ার সূত্রপাত }(t অসংখ্য খুটি নাটিই উল্লেখ করা যাইতে পারে। কোনটাই মন-গড় অলীক বাগাড়ম্বর মাত্র নয়। সহজ বুদ্ধির লোক চোখে চাহিয়া কানে শুনিয়া পায়ে হঁটিয়া হাতে ছুইয়া যে সকল তথ্য বুঝিতে পারে, সেই সব নিরেট তথ্যের জোরেই দেখিতেছি যে, এশিয়া ইয়েরামেরিকার অনেক পশ্চাতে পড়িয়া রহিয়াছে। পূৰ্ব্ব এবং পশ্চিম চিরকাল একই পথে চলিয়াছে এবং একই আদর্শের প্রভাবে জীবনযাত্রা চালাইয়া আসিয়াছে। আজও দুনিয়া সৰ্ব্বত্রই এক পথে অগ্রসর হইতেছে। আবার কালও,— বহুকাল পর্য্যন্ত-যতদূর দৃষ্টি যায়,-ছনিয়ার গতি থাকিবে একই দিকে। পূৰ্ব্বে পশ্চিমে কোনো "আদর্শগত” প্রভেদ নাই। তবে জীবনবত্তা, আধ্যাত্মিকতা, রক্তের স্রোত, চিন্তা ও কৰ্ম্মরাশির জোয়ার ইত্যাদি যা কিছু সবই– শতকরা নিরানব্বই অংশ বর্তমান কালে পশ্চিমাদেরই সমাজে ও সভ্যতায় ছুটিতেছে। ১৯১৯-২০ সনের পুনর্গঠিত ইয়োরামেরিকা এক অদ্ভুত নবীন দুনিয়ার স্বত্রপাত করিয়াছে। বিনা গোজা মিলে বুজরুকিহীনভাবে এই তথ্যটা স্বীকার করিয়া না লওয়া পৰ্য্যস্ত যুবক-ভারতের শক্তিযোগ পদে পদে অনর্থক বাজে কাজে নষ্ট হইতে থাকিবে । নয়া বাঙ্গলার গোড়াপত্তনে যে সকল স্বদেশ সেবক মোতায়েন আছেন তাহার এই সকল “কেঠো” নিরেট তেতো সত্যের সাহায্যে নিজেদের এবং সহযোগী কমিবুন্দের মগজটা চাছিয়াছুলিয়া মেরামত করিতে অগ্রসর হউন। তাজা বস্তুনিষ্ঠ জীবন-দর্শনের দৌলতে বাঙালীর ভাবুকতা ও শক্তিযোগ একটা নবীন যুগান্তর স্বষ্টি করুক।