বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোন্নতি ১৭ বিদেশী কর্তৃক পরিচালিত ব্যাঙ্কগুলার নাম করাও দরকার। তাহাদের সংখ্যা ১৮। এইগুলার সংখ্যা ১৯০৫ সনে ছিল মাত্র ১০ । ১৯০৫ সনে লোকজনের টাকা গচ্ছিত ছিল ১৭ কোটি । আজকাল পরিমাণট। ৭১ কোটিতে দাড়াইয়াছে। অর্থাৎ এই কয় বৎসরে গচ্ছিত অর্থ ৪ গুণের কিছু বেশী বাড়িয়াছে। বাড়তির অনুপাতটা স্বদেশী বড় ব্যাঙ্কেরও এইরূপ ৷ এই ১৮টা ব্যাঙ্ককে দুইভাগে বিভক্ত করা সম্ভব । প্রথম ভাগে পড়ে ৫টা। এইগুলার কারবার অধিকাংশই ভারতের ভিতর চলে। অপর ১৩টার আসল কারবার চলে বিদেশে । ভারতে এই সকল প্রতিষ্ঠান বিদেশী কেন্দ্র-কারবারের শাখা বা প্রতিনিধিমাত্র । ১৮টা ব্যাঙ্কের প্রত্যেকটাই বিদেশে রেজেষ্টারীকৃত । ইহাদের মূলধনও বিদেশী মুদ্রায় জমা এবং গণনা করা হয়। তবে ভারতের কারবারে স্বদেশী টাকার চল আছে । এই ব্যাঙ্কগুলাকে “এক্সচেঞ্জ”-ব্যাঙ্ক বা বিনিময়-ব্যাঙ্ক বলে। বিদেশী টাকাকড়ির লেনদেন এইসকল ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্ত কোনো ব্যাঙ্কে চলিতে পারে না । বিনিময়ের কারবারটা এই সকল বিদেশী ব্যাঙ্কের একচেটিয়া । এই গেল ভারতীয় ব্যাঙ্কের সংখ্যাতত্ত্ব। অঙ্কগুলা সৰ্ব্বদ। নজরে রাখিয়া ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোল্পতির আলোচনা করা যাউক । টাকা-কড়ির বাজার ব্যাঙ্ক আর বাজারের মধ্যে কোনো তফাৎ নাই। বাজারে মাছ-ফুধ কেনা-বেচা হয়, আর ব্যাঙ্কে টাকা-পয়সা কেনা-বেচা হয়। সত্যি সত্যি টাকা কেনা-বেচা হয় না—আসলে ওখানে ধার নেওয়া আর দেওয়া হয় । যে টাকা ধার নেওয়া হয়, সেটা আবার আর একজনকে ধরে দিতেও হয় । এই টাকা লইয়া টাকা লাগাইতে গেলে কিছু মুনাফা দাড়াইয়া যায়। दे