বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆեյ নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন কিন্তু ইহা করিতে কোনো দর্শনের সাহায্য লইতে হয় না, বা কোনো অতিগভীর যুক্তিশীলতার দরকার হয় না। আমি পাঁচ হাজার টাকা লইব, বৎসরে চার টাকা সুদ। এই টাকা লইয়া আমি পুতিয়া রাখিতে পারি না । আমি যে টাকা লইব ঐ টাকা যাহাতে খাটাইতে পারি, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে। যদি এই টাকা আর কাউকে ধার দিতে চাই তবে সেটা কেমন করিয়া দেওয়া যাইতে পারে ? কোনো লোক ধার চাহিলে তাহাকে বলিতে হইবে “আমি নিজে চার টাকা সুদ দিতেছি তাহার চেয়ে যদি বেশী সুদ আমায় দাও, তাহা হইলে তোমাকে ধার দিতে পারি।” ব্যাঙ্কের মূল কথাটা হইতেছে এইটুকু। ধরুন যদি শতকরা ৪২ টাকা স্বদে টাকা আনিয়া শতকরা ৭২ টাকা মুদে লাগান যায়, তাহা হইলে অন্ততঃ ৩ টাকা লাভ থাকে। কখনো তিন টাকা, কখনো সাত টাকা, কখনো দশ টাকা, কখনো বা আঠার টাকা ইত্যাদি। এই তিন টাকা, দশ টাকা, আঠার টাকার উপরেই বিপুল বিপুল ইমারত গড়িয়া উঠে । পাঁচ শ, সাত শ’ কি হাজার লোক খাটানো সম্ভব হয় । তিন চার হাজার টাকা মাহিনা দিয়া ম্যানেজার রাখা চলে। বড় বড় ফ্যাক্টরী, ইনশিউর্যান্স কোম্পানী, বহিৰ্ব্বাণিজ্যের বড় বড় সৌধমালা মাথা তুলিয়া দাড়ায় । জীবনযাত্রার বাস্তব মাপকাঠি ব্যাঙ্ক অতি সোজা বস্তু সন্দেহ নাই, কিন্তু আবার এই সোজা কথাটার মধ্যে একটা গভীর কথাও আছে। দেশোন্নতি, আর্থিক উন্নতি, জাতীয় চরিত্র,“আধুনিকতা"এই ব্যাঙ্ক-গঠনের সঙ্গে বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট । প্রথমতঃ, এই ব্যাঙ্কের দ্বারা একটা জাতির ভিতরকার আসল কথাগুলা পাকড়াও করা যাইতে পারে। যে দেশে ব্যাঙ্ক নাই, অথবা তাহার সংখ্যা কম,