বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোল্পতি ২৩ করিয়া উচ্চতম ম্যানেজার পর্য্যস্ত—প্রায় আগাগোড়া পশিী । বোম্বাইয়ের বড় আফিসের কথাই বিশেষ করিয়া বলিতেছি। এই ব্যাঙ্ক একমাত্র ভারতবাসীর দ্বারা পরিচালিত। ইহার মূলধন আড়াই কোট ; বর্তমানে এই ব্যাঙ্কে জমা হইয়াছে কমসে কম পনর কোটী টাকা । ইহার পরে আসন দিতে পারি “পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক’কে। পাঞ্জাবীদের বাঙালীরা কি চক্ষে দেখে জানি না, তবে এই জাতটা ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে বাঙালীকে অনেক-কিছু শিখাইয়া দিতে পারে,—যদিও এই পাঞ্জাব ন্তাশনাল ব্যাঙ্ক আর সেন্টাল ব্যাঙ্কের প্রভেদ আকাশপাতাল। "বেনারস ব্যাঙ্ক” বলিয়া আর একটা ব্যাঙ্ক আছে। এটা নেহাৎ ছোট হইলেও এরও যেমন “দ্রুম", সেইরূপ আমাদের দেশের ব্যাঙ্কের মধ্যে এইটিও নিজের আসন দাবী করিতে পারে । ব্যাঙ্ক-ব্যবসায় বাঙালীর দৌড় আর আমাদের বাংলায় অাছে "বেঙ্গল দ্যাশলান ব্যাঙ্ক” । সেটার ভিত্তি ১৯১৫-৭ সনের স্বদেশী আন্দোলনের আওতায় গড়িয়া উঠে । সেই যুগে “কো-অপারেটিভ হিন্দুস্থান ব্যাঙ্ক” বাঙালীর কর্তৃত্বে মাথা তুলে। এখনো তার টিকি দেখা যাইতেছে বটে, তবে সেটা জাকিয়া উঠিতে পারে নাই । দেশে ফিরিয়া আসিবার পর “মহাজন ব্যাঙ্ক” বলিয়া আর একটা ব্যাঙ্কের নাম শুনিতে পাইতেছি । ইহার মূলধন কত হইবে জানি না, তবে পঞ্চাশ ষাট হাজারের বেশী মূলধন বোধ হয় নয় ;–লাখেও যাইয়া পৌছাইয় থাকিতে পারে। যদি এখন আপনারা জানিতে চাহেন এই দেড়টা, ছ’টা কি আড়াইট বা এই ধরণের আর কয়েকটা ব্যাঙ্কের মূলধন একত্রে কত দাড়াইবে, তবে বলিতে পারি, আজ পর্য্যন্ত মাত্র,—যদি খুব বেশী করিয়া ধরা যায়, তবে ৩০ হইতে ৪০ লাখ। ১৯২৬ সন পৰ্য্যস্ত এই আমাদের দৌড়।