পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোন্নতি S& একজন কর্ণধার। এই ব্যাঙ্কের ১৯২৫ সনের যে রিপোর্ট আমি পাইয়াছি, তাহাতে তিনি বলিয়াছেন, “এই মিডল্যাণ্ড ব্যাঙ্কের ২২০০টি শাখা স্থাপিত হইয়াছে এবং এগুলি কেবলমাত্র ইংল্যাণ্ড, স্কটল্যাণ্ড ও আয়ারল্যাণ্ডের মধ্যে স্থাপিত ”এই সব কয়টি দেশ মিলিয়। আমাদের গোট। ংলার সমান। অথচ ইহাদের কাছে বাঙালীর স্থান কত নীচে । আমাদের দেশের “ইস্পীরিয়াল ব্যাঙ্কে” ও এক শতের বেশী শাখা নাই— কারণ তাহ থাকিবারই আইন নাই । এই রকম মিডল্যাণ্ড ব্যাঙ্কের মত আরও কয়েকটা বাঘা বাঘা ব্যাঙ্ক বিলাতে রহিয়াছে। একটা হইতেছে “বার্কলেস ব্যাঙ্ক”—ইহার শাখা হইতেছে ১৭•• ; “লয়েডস ব্যাঙ্ক”, “ওয়েষ্ট মিন্‌ষ্টার ব্যাঙ্ক”, “ন্যাশন্তাল প্রোভিনখাল ব্যাঙ্ক”—এই ৫টা প্রকাও প্রকাও ব্যাঙ্ক লণ্ডন সহরে আছে । ম্যানচেষ্টার সহরটা নিজেই একটা বিপুল সাম্রাজ্যের রাজধানী হইতে পারে । তেন্নি লিবারপুলও একটা সাম্রাজ্য চালাইতে পারে। এই দুই সহরেই একাধিক বড় বড় ব্যাঙ্ক আছে। বিলাতের অলিতে গলিতে যে অসংখ্য ছোট-খাট ব্যাঙ্ক রহিয়াছে, সে সব ছাড়িয়া দিলেও মোটামুটী বড় বড় ব্যাঙ্কের শাখা এই ১৯২৬ সনে আট হাজার দাড়াইবে । এই শাখা দিয়া একমাত্র বিলাতেই বলিতে হয় কমসে কম আট হাজার ব্যাঙ্ক চলিতেছে। এখন আমাদের দেশের সঙ্গে ও দেশটার তুলনা কোথায় গিয়া দাড়ায় ? কোথায় গৌরীশৃঙ্গ আর কোথায় বঙ্গোপসাগর । জাৰ্ম্মাণ ও আমেরিকাল ব্যাঙ্কের কথা এইবার জাৰ্ম্মাণির “ড্যয়চে বাঙ্কের” কথা বলি। বার্লিনের যে পাড়ার এই ব্যাঙ্কটি স্থাপিত সেখানে গেলে আপনাদের গোলকধাঁধা লাগিয়া