শেষোক্তকে বলিলেন, “তোমার কাছে একটু কাযে আসিয়াছি।”
রমানাথ বলিলেন, “কি? বল।”
“তোমার বাড়ীতে ফুলতলার হরিহর ঘোষ থাকেন?”
“হাঁ।”
“কৃষ্ণনাথ একটি ছেলের সহিত কন্যার বিবাহের প্রস্তাব করিতেছে। ছেলেটি সম্পর্কে হরিহর বাবুর ভাগিনেয়। অন্য কোনও নিকটসম্পর্কীয় লোকের অভাবে আমরা তাঁহাকেই ধরিতে আসিয়াছি। ছেলের বাপের মত করাইতে হইবে!”
শুনিয়া রমানাথ একটু বিস্মিত হইলেন। হরিহর তাঁহার সামান্য বেতনের মুহুরী। তিনি শেষে ভাবিলেন, “হইবে। ব্রাহ্মণ কায়স্থের সম্পর্ক কোথায় বা না থাকে?” ভৃত্য কলিকায় ফুঁ দিতে দিতে কক্ষে প্রবেশ করিল। রমানাথ তাহাকে বলিলেন, “হরিহরকে ডাকিয়া আন।”
অল্পক্ষণ পরেই হরিহর কক্ষে প্রবেশ করিল। শ্যামাপ্রসন্ন বলিলেন, “বসুন।”
সে বসিতে ইতস্ততঃ করিতেছিল। রমানাথ ইঙ্গিত করিয়া বসিতে বলিলেন। সে বসিল।
শ্যামাপ্রসন্ন জিজ্ঞাসা করিলেন, “ধূলগ্রামের শিবচন্দ্র দত্ত আপনার ভগিনীপতি?”
হরিহর বলিল, “হাঁ।”
“তাঁহার অবস্থা কেমন?”
৪০