পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

 “তাঁহারা বনিয়াদি ঘর। মধ্যে অবস্থ। কিছু হেল্‌তি হইয়া আসিয়াছিল। এখন আবার অবস্থা ভালই হইয়াছে, বেশ সঙ্গতিপন্ন।”

 “তাঁহার পুত্ত্র প্রভাতচন্দ্র বি. এ. পড়িতেছে। আমার এই বন্ধু তাহার সহিত কন্যার বিবাহ দিতে ইচ্ছুক হইয়াছেন। এ সম্বন্ধ শিববাবুর পক্ষে সৌভাগ্য। যাহাতে এ সম্বন্ধে তাঁহার মত হয়,আপনাকে তাহা করিতে হইবে।”

 হরিহরের ইচ্ছা হইল, সত্য কথা বলে,—শিবচন্দ্রের সহিত তাহার সেরূপ ঘনিষ্ঠতার অভাব। কিন্তু মানব-হৃদয়ে নিহিত সম্মানলাভলালসা তাহাকে বুঝাইয়া দিল,—যদি অনায়াসে কৃষ্ণনাথের মত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির সম্মানলাভ করা যায়, তাহা ত্যাগ করা সুবুদ্ধির কার্য্য নহে। সে বলিল, “আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিব।”

 শ্যামাপ্রসন্ন বলিলেন, “তবে আপনি পত্র লিখুন।”

 রমানাথ ও কৃষ্ণনাথ এই প্রস্তাবের সমর্থন করিলেন। তখন হরিহর কালী, কলম ও কাগজ আনিল। শ্যামাপ্রসন্ন বলিয়া যাইলেন, সে পত্র লিখিল।

 পত্র লিখিত হইলে রমানাথ হরিহরকে বলিলেন, “পত্রখানা এখনই পাঠাইয়া দাও।” হরিহর উঠিয়া গেল।

 অল্পক্ষণ পরেই কৃষ্ণনাথ ও শ্যামাপ্রসন্ন বিদায় লইলেন।

 যান ভবানীপুর ছাড়াইয়া ময়দানে আসিয়া পড়িল। ময়দান যেন নিরানন্দ। শীতবাতে অনেক তরুর অধিকাংশ পত্রসম্পদ

৪১