br নিদর্শনতত্ত্ব। বা অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়াছে, উল্লিখিত সাধারণ স্বজ্ঞাদি থাকা প্রকৃত হইলে যদি তাহার তত্তং বিষয় অবগত থাকার বিশেষ সম্ভাবনা জানা যায়, তবে তাহার প্রকাশিত, ঐ মত বা অভিপ্রায় প্রাসঙ্গিক অর্থাৎ প্রমাণ বলিয়া গণ্য হুইবে । এই পুস্তকের প্রথম ভাগে শ্রুতু্যক্তি অঞ্চায়ের শেষাংশে শ্রুতু্যক্তি প্রমাণ ষে ছয়টি স্থলে গৃহীত হইবার বিষয়ে লিখিত হইয়াছে এইটি তাহার প্রথম স্থল । টেলর সাহেব কৃত নিদৰ্শনতত্তের ১ খণ্ড, ৫৩৪-৩৫-৩৬ পৃষ্ঠা দুষ্টব্য। ১৪৯৬ ধারা দেখ । মোকদ্দমা ন৭, ২৪৩০ । ১৮৬৬ ৷ মাধবচন্দ্র বিশ্বাস আপেলাণ্ট, তমি বেওয়া দিগর রেক্ষপণ্ডেণ্ট, ১৮৬৭ সালের ২৮ এ ক্ষেব্রুয়ারি দিবসের হাইকোর্টের নিষ্কপত্তি। উঃ রিঃ ৭ বালাম, ২১০ পৃষ্ঠা দুষ্টব্য। ৫। কোন ব্যক্তিদের মধ্যে কুটুম্বিত থাকিলে যে ব্যক্তি কুটুম্বিতার উক্তি ঐ উক্তি করে, যদি সেই কুটুম্বিত থাকার বিষয়ে তাহার জ্ঞাত হইবার বিশেষ সুযোগ থাকে ও বিবাদীয় বিষয় উত্থিত হইবার পূৰ্ব্বে ঐ কুটুম্বিতার বিষয়ে তাহার উক্তি হইয়া থাকে, তবে সেই উক্তি প্রাসঙ্গিক । প্রমাণবিষয়ক পুরাতন আইন অর্থাৎ ১৮৫৫ সালের ২ আইনের ৪৭ ধারায় এই রূপ বিধান ছিল যে, বিজাতগণের উক্তিও পরিবারস্থ অন্যান্য ব্যক্তিগণের উক্তির ন্যায় প্রমাণ রূপে গৃহীত হইবে । এস্থলে বিধানটি অধিকতর ব্যাপক করা হইয়াছে । প্রথম ভাগের শ্রুতু্যক্তি অধ্যায়ের শেষ ভাগে যে ও স্থলে শ্রুতু্যক্তি প্রমাণ রূপে গৃহীত হইতে পারার কথা লিখিত্ব হইয়াছে, উপরোক্ত ধারাটি তাহার দ্বিতীয় স্থল। কুটস্থিত বা সম্পর্ক বিষয়ে এই প্রমাণ গৃহীত হইবার বিধান না থাকিলে ন্যায়বিচারের বহুল ব্যাঘাত হইত। পরিবার সম্বন্ধীয় গুপ্ত বিষয় অন্যান্য বৃত্তান্তের, ন্যায় সাধারণের জানিবার সম্ভাবনা অতি বিরল । টেলর সাহেবের , নিদর্শনতজ্ঞের ১ বাঃ ৫৫৩ পৃষ্ঠা দুষ্টব্য । ইংলণ্ডীয় বিধান মত ৱিজাতৃগণের উক্তি অগ্রাহ্য । এই ধারার লিখিত শ্রুতু্যক্তি নানা রূপে আদালত্তে দশিত হইতে পারে, মন্মধ্যে নিমনলিখিত ৫ প্রকারই প্রসিদ্ধ ।