বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাইকোর্টের সরকুলের ૨૯૧ কোন বিচারপতি ষখন মোকদম আদৌ বিচার করিবার ক্ষমতা ক্রমে কাৰ্য্য করেন, তখন যে সকল দস্তাবেজ প্রমাণ স্বৰূপে প্রাপ্ত হন ও গ্রাহ্য করেন, বিচার-কাৰ্য্য-স্থচক তাহার ক্ষুদ্র লিপিতে কোন বিশেষ নম্বর ক্রমে ঐ দস্তাবেজের উল্লেখ করিলে, আপীলআদালতের অত্যন্ত উপকার হইতে পারে। এই হেতুক হাইকোর্ট আজ্ঞ করিয়াছেন যে, ১৮৫২ সালের ৮ আইনের ১৭২ ধারামতে বিচারপতি প্রমাণের সারাংশের যে লিপি করেন তদ্ভিন্ন কিংবা আপনি যদি প্রমাণ লিখিয়া লন, তবে সেই প্রমাণ ভিন্ন "প্লমাণের মধ্যে যে প্রত্যেক দস্তাবেজ গ্রাহ্য হয়, তাহারও এক ক্ষুদ্র লিপি করিয়া বিশেষ নম্বর ক্রমে তাহার উল্লেখ করবেন, এবং যে তারিখে তাহ পাওয়া যায়, সেই তারিখ ও যে ব্যক্তি তাহা উপস্থিত করিলেন তাহার নামও উল্লেখ করিবেন। এবং কোন দস্তাবেজ অগ্রাহ্য করিলে সে কথা ও তাহা অগ্রাহ্য করিবার হেতুও সংক্ষেপে লিখিবেন। ১২ । ৩৯ ধারার বিধি ১৩২ ধারাতে পুনরুক্তি হইয়াছে, যথা, ঐ দস্তাবেজ যদি দোকানের খাতার কি অন্য বহীর লিখিত কথা হয়, তবে যাহার পক্ষে সেই খাত অানা যায় তাহার সেই লিখিত কথার এককেত নকলও দাখিল করিতে হইবে । সেই নকলের পৃষ্ঠে পূৰ্ব্বোক্তমতে লেখা যাইবে ও তাহ নর্থীর এক কাগজ বলিয়া নর্থীর সামিল করা যাইবে, ও ষে জন ঐ বহী আনিয়াছিল তাহাকে তাহ ফিরিয়া দেওয়া যাইবে । ৩৯ ধারা ক্রমে আদালতের ষদ্ধপ করা উচিত, এই স্থলেও তক্রপ করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য, যথা,ৰহী ফিরিয়া দিবার পূৰ্ব্বে সেই দলীলে অর্থাৎ ঐ লিখিত কথা পুনরায় চিনিতে পারেন, এই জন্যে ঐ কথায় চিহ্ন দেওয়া কৰ্ত্তব্য । যে ব্যক্তি ৩৯ ধারামতে বঙ্গী উপস্থিত করেন তিনি ইচ্ছা করিলে ঐ বহীর লিখিত কথার প্রতিলিপি ন দিয়া নর্থীতে রাখিবার জন্যে বহী খানি দিতে পারেন, কিন্তু ১৩২ ধারাতে সেই বহী ফিরিয়া দিবার স্পষ্ট আজ্ঞা আছে। శ్రీ \}