পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শনতত্ত্ব । ఖీ বক্তৃতা শ্রবণ অথবা ঘটনা সংস্কৃষ্ট অবস্থা বা পদার্থের পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিচারকের অন্য উপায় নাই, অতএব উপায় ভেদে নিদর্শন দুই ভাগে বিভক্ত হইতে পারে। প্রথম মনুষ্যসস্তুত নিদর্শন, দ্বিতীয় বস্তু বা পদার্থ সষ্কৃত নিদর্শন। মনুষ্যসন্থত নিদর্শন সচরাচর বিচারালয়ে ব্যবহৃত, তৎসম্পর্কে এস্থলে বাহুল্য উক্তি নিম্প্রয়োজন। পদার্থ সন্থত নিদর্শনের যথার্থভাব উপলব্ধির জন্য কয়েকটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করা যাইতেছে। যথা, নরহত্যার অভিযোগে অভিযুক্তের অধিকারে শোণিতাবৃত তরবারি ও রক্তময় বসন । চুরীর অভিযোগে চোরের গৃহে প্রাপ্ত হওয়া চৌৰ্য্য দ্রব্য। ভ্রুণহত্যার অভিযোগে ভ্রণ ও ভ্রষ্টা স্ত্রীর অঙ্গ বিশেষের বিকৃতি। ঋণ পুনঃপ্রাপণের মোকদ্দমায় অধমণের প্রদত্ত স্বীকার-পত্ৰ ( খত ) ৷ ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমায় ক্ষতি হওয়া সম্পত্তি। এবং সীমা-ঘটিত মোকদ্দমায় বিবাদীয় স্থল বা তাহার মানচিত্র ইত্যাদি। নিদর্শন আর দুইপ্রকারে বিভক্ত হয়। ১ প্রত্যক্ষ বা সাক্ষাৎ । ২ অপ্রত্যক্ষ বা অসাক্ষাৎ । চক্ষুরাদি পঞ্চেন্দ্রিয়ের সাহায্যে সাক্ষী বা আদালত কোনরূপ বৃত্তান্ত বা অবস্থার জ্ঞান স্বয়ং অনুভব বা প্রত্যক্ষ করিলে তাহাকে সাক্ষাৎ বা প্রত্যক্ষ নিদর্শন বলে। আনন্দ বলরামের ঘরে অগ্নি দিয়াছে, কমল তাহা স্বচক্ষে দেখিয়াছে, কমলের সাক্ষ্য প্রত্যক্ষ নিদশন । কমল দয়ালকে বলিয়াছে যে, সে আনন্দ কর্তৃক বলরামের ঘরে অগ্নি দেওয়া দেখিয়াছে, দয়ালের উক্তিও প্রত্যক্ষ নিদর্শন ।