পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ নিদর্শনতত্ত্ব । প্রত্যক্ষ নিদর্শন আবার দুইপ্রকারে বিভক্ত, অব্যবধান ও ব্যবধান } + একটি বৃত্তান্ত দেখিয়া বর্ণনা করিয়াছে; ইহার মধ্যে আর কোন ব্যক্তি ব্যবধান নাই, অতএব কমলের সাক্ষ্য অব্যবধান, কিন্তু দয়াল ঘটনা অর্থাৎ অগ্নি প্রক্রিয়া স্বয়ং দর্শন করে নাই, কমলের মুখে শুনিয়াছে মাত্র, এস্থলে দয়াল ও আদালতের মধ্যে কমল ব্যবধান রহিল, সুতরাং তাহার উক্তি ব্যবধান । অব্যবধান নিদর্শনকে কখন কথন প্রাথমিক বা আদিম নিদর্শন বলে, এবং ব্যবধান নিদর্শনকে শ্রুতিমূলক বা দ্বিতীয় কল্পের নিদর্শন বলা যায় । যেরূপ নিদর্শন দ্বারা সাক্ষাৎ সম্বন্ধে বিচাৰ্য্য বৃত্তান্তের প্রমাণ হয় না, অথচ অন্য কোন বৃত্তান্তের প্রমাণ হয়, যদ্বারা বিচাৰ্য্য বৃত্তান্তের যাথার্থ্য অনুমিত হইতে পারে, সেই রূপ নিদর্শনকে অপ্রত্যক্ষ বা অসাক্ষাৎ নিদর্শন বলে। যথা, আনন্দ হত হইয়াছে ; কমল বলে যে, কোনু ব্যক্তির দ্বারা আনন্দের প্রাণনাশ হইল তাঁহা যদিচ সে স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে নাই, কিন্তু পশ্চাল্লিখিত ঘটনাবলি সে দৃষ্টি করিয়াছে। আনন্দের পশ্চাদিক হইতে একটি গুলি আসিয়া তাহার পৃষ্ঠদেশ বিদীর্ণ করিয়াছিল, গুলি চালানের অব্যবহিত পূর্বে আনন্দ ও বলরাম বিবাদ করিতেছিল, বলরাম আনন্দকে বধ করিবে বলিয়া শাসন করিয়াছিল, শাসন করিয়াই আনন্দের পশ্চাভাগে যে একটি ক্ষুদ্র জঙ্গল ছিল তাহাতে বলরাম প্রবেশ করে, প্রবেশ করার পরেই একটি বন্দুকের ধ্বনি হয় ও সেই