পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শনতত্ত্ব । ২১ ব্যক্তি কর্তৃক যে সকল বৃত্তান্ত প্রকাশিত হয় তাহ শ্ৰুতু্যক্তি বলিয়া গণ্য হয় না । প্রথম। যে স্থলে কোন ব্যক্তি কোন একটি উক্তি করিয়াছিল কি না, সেই বিষয়ের বাদানুবাদ হয়, অথচ যে উক্তিটি করিয়াছিল তাহা সত্য কি মিথ্যা তাহার কোন তর্ক থাকে না, সেই স্থলে তৃতীয় ব্যক্তির উপরোক্ত প্রণালীর উক্তি ধৰ্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা পূর্বক না হইয়া থাকিলেও তাহ শ্ৰুতু্যক্তি বলিয়া গণ্য হয় না । সাধারণ প্রবাদ, সাধারণ স্বামিত্ব, সাধারণ জনরব, সাধারণ চরিত্র এবং সাধারণ খ্যাতি সৰ্ব্বসাধারণের উক্তিমূলক বটে, উহা ধৰ্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞাপূর্বক গৃহীত হয় না, অপিচ উহা শ্ৰুতু্যক্তি সংজ্ঞাভুক্ত নহে, উল্লাহ প্রমাণ স্বরূপ বিচারালয়ে গৃহীতব্য। দ্বিতীয় । কোন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা বা মনোগত ভাবের প্রমাণের অবিশ্ব্যক হইলে তত্তৎ সময়ে যদ্রুপ উক্তির দ্বারা উপরোক্ত ভাব প্রকাশ করে তাহা আদিম নিদর্শনরূপে গ্রহণীয়। যথা, কোন পীড়িত ব্যক্তি যেরূপ উক্তির দ্বারা পীড়ার ধৰ্ম্ম বা ফল ব্যক্ত করে, বিষপানে মৃত ব্যক্তির বিষপানের পূর্বে তাহার শরীরের যেরূপ অবস্থা ছিল, কোন স্ত্রীলোকের প্রতি বলাৎকার হইলে তাহার তদানীন্তন অবস্থাপ্রকাশক উক্তি । - তৃতীয়। কোন কাৰ্য্য বা উক্তি যাহা ঘটনা বিশেষের অংশ বলিয়া পরিগণিত হয়। যথা, কোন রাজবিদ্রোহীর দলভুক্ত লোকের চীৎকারধ্বনি, বিদ্রোহ ঘটনার আদিম নিদর্শনরূপে গৃহীত হইয়া থাকে।