পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সুভাষচন্দ্রের বক্তৃতার সারমর্ম্ম

মাতৃজাতির প্রতি সম্মান

 হিন্দুজাতি গর্ব্ব করিয়া থাকে যে তাঁহারা মাতৃমূর্ত্তির ভিতর দিয়া ভগবানের আরাধনা করিয়া থাকে এবং তাঁহারা বাল-গোপাল রূপের মধ্যে ভগবানকে পাইয়াছে। কিন্তু আমি হিন্দুজাতিকে জিজ্ঞাসা করি—একবার বুকে হাত দিয়া বলুন—“আমাদের সমাজে বর্ত্তমান সময়ে ঘরে এবং বাহিরে আমরা মাতৃজাতির সম্মান রক্ষা করিতে পারিতেছি কিনা এবং আমাদের সমাজে বালক ও যুবকেরা মনুষ্যোচিত ব্যবহার পায় কিনা?”

 আজ যদি বাঙ্গলা দেশে পুরুষ থাকিত তাহা হইলে মাতৃজাতির অসম্মান দেখিয়া তাহারা ক্ষিপ্ত প্রায় হইত এবং বীরশ্রেষ্ঠ খড়্গ বাহাদুর সিংহের মত প্রাণের মায়া ত্যাগ করিয়া মাতৃজাতির সম্মান রক্ষার্থে কর্ম্ম সমুদ্রে ঝাঁপ দিত।

 ইংরাজকে তোমরা হয়ত ঘৃণা করিয়া থাক কিন্তু আমি বলি, ইংরাজ যেরূপ তাহার মাতৃজাতিকে সম্মান করিতে জানে সেইরূপ সম্মান করিতে ইংরাজের নিকট শিক্ষা কর। একজন ইংরাজ মহিলার উপর অত্যাচার হইলে সমস্ত ইংরাজ জাতি পাগলের মত হইয়া যায় এবং সমস্ত জাতি সেই অপমানের প্রতিশোধ লইবার জন্য বদ্ধপরিকর হয়। ভারতের উত্তর পশ্চিম প্রদেশে মিস্ এলিস নামক ইংরাজ রমণীর পাঠান কর্ত্ত‌ৃক অপহরণের ঘটনা হয়ত আপনাদের স্মরণ আছে।

 আমরা মুখে বলি “জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী”