করে। নেতাজী রোগে আক্রান্ত অবস্থায় জনৈক গোয়েন্দার নজরে পড়েন তবে একখানা দশ টাকার নোট ও একটি ফাউনপেন দিয়া উদ্ধার পান। কিন্তু এই সময় তাঁহার এক নূতন বিপদ উপস্থিত হইল। এই সময় সোভিয়েট-জার্ম্মান চুক্তি ভঙ্গ হয় এবং ইঙ্গ-রুশ চুক্তি সম্পাদিত হওয়ায় রুশ সরকার তাঁহাকে রুশিয়ায় স্থান দিতে অস্বীকার করে। তথাকার একজন জার্ম্মান নেতাজীকে বিমান যোগে রুশিয়ার পথে বার্লিনে পাঠান।
ভারতে অন্তর্বিপ্লব
[ আগষ্ট আন্দোলন ]
১৯৩৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ই জুলাই তারিখে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বিখ্যাত “ভারত ছাড়” প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এই প্রস্তাব ৮ই আগষ্ট নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতিতে গৃহীত হয় এই প্রস্তাবে বৃটিশকে ভারত ছাড়িয়া যাইতে অনুরোধ করা হয়। গান্ধীজী অহিংস উপায়ে এই আন্দোলনে সকলকে যোগদান করিতে বলেন। তাঁহার বাণীতে তিনি বলেন “অহিংস উপায়ে প্রত্যেক লোকের স্বীয় কার্যের সম্পূর্ণ অবসান ঘটান অথবা ধর্মঘট চালাইবার স্বাধীনতা আছে।......যখন ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে মৃত্যুর সম্মুখীন হইতে পরিবে জাতি তখনই বাঁচিতে পারে”। তিনি বাণী দেন “হয় কর না হয় মর, করেঙ্গে য়্যা মরেঙ্গে।” নিম্নে এই ঐতিহাসিক প্রস্তাবের সারমর্ম দেওয়া হইল। নেতাজী ত্রিপুরী কংগ্রেসে ইংরেজকে ছয় মাসের চরম পত্র দিবার প্রস্তাব উত্থাপন করিতে চাহেন কিন্তু মহাত্মা চালিত কংগ্রেস কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তাবে রাজী হন না। আজ কংগ্রেস কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয়