বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৪৩

হইয়াছে। নেতাজীই প্রকৃত প্রস্তাবে এই প্রস্তাবের জনক। “ভারত ছাড়” এই দুইটি ঐন্দ্রজালিক শব্দে আসমুদ্রহিমাচলে ভারতবর্ষ চঞ্চল হইয়া উঠে। ভারতের ভিতরে অন্তর্বিপ্লব দেখা দেয় এবং ভারতের বাহিরে নেতাজীর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী এই প্রস্তাবের বাস্তব রূপ দিতে চেষ্টা করে।

ঐতিহাসিক আগষ্ট প্রস্তাব

(নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতিতে যে আকারে গৃহীত হয়)

 ওয়ার্কিং কমিটির ১৯৪২ সালের ১৪ই জুলাই এর প্রস্তাব নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি অনুমোদন ও সমর্থন করিতেছে। ...ভারতবর্ষের জন্য এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্যকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের অবসান অবিলম্বে প্রয়োজন। ব্রিটিশ শাসন ভারতকে পঙ্গু করিয়া তাহার অবনতি ঘটাইতেছে। ইহার ফলে ভারতবর্ষের আত্মরক্ষার ও বিশ্বের মুক্তি সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করিবার ক্ষমতা ক্রমশঃ লোপ পাইতেছে।

 স্বাধীনতা অপেক্ষা পরাধীন ও ঔপনিবেশিক দেশগুলির উপর আধিপত্য স্থাপন এবং ধনতান্ত্রিক প্রথা ও উপায়কে কায়েম করিবার চেষ্টার উপরই মিত্রপক্ষীয় জাতিপুঞ্জের নীতির ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। সাম্রাজ্যের অধিকার ইংরেজকে শক্তি দান করে নাই বরং উহা অভিশাপ স্বরূপ হইয়াছে। আধুনিক সাম্রাজ্য বাদের চরম নিদর্শন ভারতবর্ষ সমস্ত প্রশ্নের জটিল গ্রন্থি স্বরূপ কারণ ভারতের স্বাধীনতার মাপকাঠিতেই ব্রিটেন ও মিত্রজাতিগুলিকে পরিমাপ করিতে হইবে। ভারতের স্বাধীনতা, এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের মনে আশা ও উৎসাহ আনিবে।