বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৫১

অফিস ঘর ছিল। অপর দুইটী থানা কংগ্রেস কমিটীর কার্যালয় ভাড়া করা বাড়ীতে ছিল।

 আগষ্ট আন্দোলনের পর তমলুক মহকুমায় দুই বৎসর যাবৎ জাতীয় গভর্ণমেণ্ট (জাতীয় সরকার) প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৪২সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর রাত্রিতে তমলুক ও কাঁথি মহকুমার যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থার শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ বিনষ্ট করা হইয়াছিল, এবং পরের দিন শুধু তমলুক মহকুমায় ৪০ হাজার নিরস্ত্র ও অহিংসা জনতা আক্রমণ চালাইবার জন্য কয়েকটী থানায় সমবেত হয়।

 জাতীয় গভর্ণমেণ্টের কার্য্যকলাপ প্রধাণতঃ সুতাহাটা, নন্দীগ্রাম মহিষাদল এবং তমলুক এই ৪টা থানার ভিতর সীমাবদ্ধ ছিল। এই ৪টী থানা দখলের জন্য ৭বার আক্রমণ করা হইয়াছিল।

 যাতায়াত ও যোগাযোগ রক্ষার ব্যবস্থা বিপর্য্যস্ত করিবার জন্য যে সংগ্রাম আরম্ভ করা হইয়াছিল তাহার ফলে ৩০ টী সেতু ধ্বংস করা হয়, ২৭ মাইল লম্বা টেলিগ্রাফের তার কাটা হয়, ১৯৪টী টেলিগ্রাফের থাম ভাঙ্গিয়া ফেলা হয়, এবং গাছ ফেলিয়া ৪৭টা রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়।

 যে সমস্ত স্থান দখল করিয়া রাখা যায় নাই, সে সমস্ত স্থান সম্পর্কে “পোড়া মাটীর” নীতি অনুসরণ করা হয়। ইহার ফলে নিম্নলিখিত প্রকারের “শত্রু শিবির” গুলি ভস্মীভূত হয়। ২টা থানা ২টী সাব রেজেষ্ট্রী অফিস, ১৩টী ডাকঘর, ১টী খাস মহল অফিস, ১৭টা আবগারী দোকান এবং ১২টা ডাক বাংলা, এতদ্ব্যতীত ২৪টা জমিদারী কাছারী ১৬টী পঞ্চায়েত বোর্ড ৯টী ইউনিয়ন বোর্ড এবং জেলা বোর্ডের ১৭টী অফিসও ভস্মীভূত হয়।

 ১৩জন গভর্ণমেণ্ট অফিসারকে গ্রেপ্তার করিয়া পরে ছাড়িয়া