বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাংলার হলদিঘাট-মেদিনীপুর

 আগষ্ট আন্দোলনের ইতিহাসে তেজস্বী দেশপ্রেমিক দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথের কর্ম্মভূমি মেদিনীপুর একটা বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়াছে। মেদিনীপুরের বিশেষতঃ তমলুক ও কাঁথি মহকুমায় আন্দোলন এমন ব্যাপকভাবে ছড়াইয়া পড়ে যে কয়েক মাসের মধ্যে কয়েকটী স্থানে কয়েক মাসের জন্য বৃটিশ শাসনের অবসান ঘটে এবং জাতীয় গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দুই মহকুমায় ঝঞ্ঝা ও প্লাবণ, মহামারী ও দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হইলে ও মহকুমা বাসীগণ মহাত্মাজীর আহ্বানে একপ্রাণ হইয়া অভূতপূর্ব্ব সাড়া দেয়। ভারতের আর কোথাও এত ব্যাপকভাবে আগষ্ট আন্দোলন সাফল্য লাভ করে নাই।


তমলুক মহকুমা

 তমলুক—মেদিনীপুর জেলার একটা মহকুমা। উহার এলাকায় ছয়টী থানা আছে। যথা:—সূতাহাটা, নন্দিগ্রাম, মহিষাদল, তমলুক ময়না ও পাঁশকুড়া। এই মহকুমার মধ্যে কেবল তমলুক সহরেই মিউনিসিপ্যালিটী আছে। সহরের লোক সংখ্যা ১২ হাজার। তমলুক মহকুমায় ৭৬টী ইউনিয়ন আছে এবং ১২৪৬টী গ্রাম আছে। সমগ্র মহকুমায় ১,৪২,২০০টা পরিবারে মোট ৭,৫৩,১৫২জন লোক বাস করে।

 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার বহুপুর্ব্বে মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস কমিটী অধীনে তমলুকে একটা মহকুমা কংগ্রেস কমিটী ও ছয়টি থানা কংগ্রেস কমিটী ছিল। প্রাথমিক কংগ্রেস কমিটীগুলি প্রতিটা ইউনিয়নে স্থাপিত ছিল। ৪টী থানা কংগ্রেস কমিটীর নিজস্ব