পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

নিজের আদর্শকে ভুলিলেন না। এক বৎসর অনেক চিন্তার পর তিনি ভারত সচিবের অনুরোধ উপেক্ষা করিয়া পদত্যাগ পত্র দাখিল করিলেন। এই চাকরি অনেকের পক্ষে স্বর্গ সমান। চাকরিজীবি বাঙ্গালীর এর চেয়ে বেশী কাম্য কিছু নাই। চাকরিতে আড়াই হাজার টাকা মাহিনা, আরও উচ্চ বেতনের হাইকোর্টের জজ বা বিভাগীয় কমিশনার পর্যন্ত হওয়া যায়। এত বড় লোভ সম্বরণ করা খুব মানসিক বলের দরকার। এ কি সোজা স্বার্থত্যাগ! তিনি ১৯২১ খৃষ্টাব্দে মে মাসে কেম্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি, এ, (অনার্স সহ) ডিগ্রি লইয়া ১৬ই জুলাই দেশে ফেরেন।

 ভারতে আগমন—তখন ভারতে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পূর্ণভাবে আরম্ভ হয়েছে। ইংরাজ রাজত্ব ভারতবাসীর সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল। পুলিশ, রেল, পোষ্টাফিস, আফিস, আদালত, হাঁসপাতাল এমন কি সৈন্যবিভাগ সবই ভারতবাসী চালায়। মহাত্মা চেয়েছিলেন—এই সব লোক চাকরি ছাড়িয়া দিলে ইংরাজ রাজত্ব একদিনেই অচল হবে। সুভাষচন্দ্র প্রথমেই বোম্বাইতে গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করেন কিন্তু গান্ধীজির সহিত আলোচনায় তাঁহার কার্য প্রণালীর বিষয়ে সন্তুষ্ট হইতে পারেন নাই। তৎপরে সুভাষচন্দ্র বাংলার নেতা দেশবন্ধুর সহিত দেখা করেন। দেশবন্ধুর কথায় তিনি মুগ্ধ হন এবং দেশবন্ধুর অনুচররূপে দেশসেবায় জীবন উৎসর্গ করেন।

 জাতীয় কলেজের অধ্যক্ষ—গান্ধীজির আহবানে অনেকেই