পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১১

ওকালতি ডাক্তারি ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। অনেক ছাত্রও স্কুল কলেজ ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। এই সব ছাত্রদের জন্য প্রত্যেক প্রদেশে জাতীয় কলেজ স্থাপিত হইয়াছিল। সুভাষচন্দ্র কলিকাতার জাতীয় কলেজের অধ্যক্ষ ও কংগ্রেস কমিটির প্রচার কর্তা নিযুক্ত হন। অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি ছাত্রদিগের মনে প্রথমেই জাতীয়তা ও ত্যাগের কথাই শিক্ষা দেন। সরকার বাহাদুর এই কলেজগুলিকে অঙ্ক‌ুরেই বিনাশ করিবার সুযোগ খুঁজিতে লাগিলেন।

 যুবরাজ বয়কট—১৯২১ খৃষ্টাব্দের ১৭ই নবেম্বরে ইংলণ্ডের যুবরাজ ও ভারতের ভাবী সম্রাট ভারতে আগমন করেন। কংগ্রেসের নির্দ্দেশে সমস্ত ভারত ঐদিন দোকান-পাট যান-বাহন বন্ধ করিয়া শান্তিভাবে পূর্ণ হরতাল পালন করে। গভর্ণমেণ্টের নীতির প্রতিবাদে এইরূপ করা হয়। যুবরাজের প্রতি ব্যক্তিগত অসম্মান কাহারও ছিল না। বাংলায় তখন সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কলিকাতায় ১৭ই তারিখের হরতালকে পরিচালনা করে। যুবরাজের ২৫ শে ডিসেম্বর কলিকাতায় আসার কথা। সেইজন্য ১৯ শে নভেম্বরে বাংলা সরকার সেচ্ছাসেবক বাহিনীকে বে-আইনী ঘোষণা করেন এবং কলিকাতায় শোভাযাত্রা ও সভা নিষিদ্ধ করেন। নেতারা এই আদেশ অমান্য করেন। এই প্রথম আইন অমান্য আন্দোলন আরম্ভ হয়। দেশবন্ধু, সুভাষচন্দ্র, মৌলানা আজাদ, বীরেন্দ্র শাসমল প্রভৃতি অনেকে গ্রেপ্তার হন। ইহা সত্ত্বেও