মধ্যে মতভেদ থাকিতে পারে কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমরা সকলেই একমত......আমি ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের আস্থাভাজন হইতে চেষ্টা করিব।”
মহাত্মা গান্ধী নির্বাচন সম্বন্ধে এক বিবৃতি দেন, “আমি গোড়া হইতে তাঁহার (সুভাষচন্দ্রের) নির্বাচনের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলাম। কারণ বর্ণনার প্রয়োজন নাই।...আমার চেষ্টাতেই ডাঃ পট্টভি নির্ব্বাচন হইতে সরিয়া দাঁড়ান নাই। অতএব এই পরাজয় তাঁহার অপেক্ষা আমারই অধিক।...সংখ্যালঘুদের দ্বারা কোন রূপ বাধা সৃষ্টি করা উচিত হবে না। যখন তাঁহারা সহযোগিতা করিতে অসমর্থ হইবেন তখন তাঁহারা সহযোগিতা হইতে বিরত থাকিবেন।...
মহাত্মার এই বিবৃতির পরে ত্রিপুরী অধিবেশনের পূর্ব্বেই ওয়ার্কিং কমিটির বার জন সদস্য সুভাষচন্দ্রের নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিল করেন। জহরলাল পৃথক পত্রে পদত্যাগ করেন। তাঁহাদের উদ্দেশ্য ছিল সুভাষচন্দ্রকে তাঁহার সুস্পষ্ট নীতি অনুসরণে এবং নিজ দল হইতে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নির্ব্বাচনে স্বাধীনতা দেওয়া। এই সময়ে সুভাষচন্দ্র ১০৩০ জরে শয্যাগত, উত্তান শক্তি রহিত। ডাক্তাররা তাঁহাকে কোন কার্য্য করিতে পরামর্শ দেন নাই। এই সঙ্কট মুহূর্ত্তে বারজন সভ্যের পদত্যাগ পত্র দাখিল করা উচিৎ হয় নাই। তাঁহারা ত্রিপুরী কংগ্রেস পর্য্যন্ত ধৈর্য্য ধরিতে পারিলেন না। সুভাষচন্দ্রের যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা ও সংগ্রামাত্মক কর্মসূচীই বিরোধের কারণ।