পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৩৫

কংগ্রেসের ঐক্য রক্ষাকল্পে সুভাষ যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছিলেন।

 সুভাষচন্দ্র ১৫ই ফেব্রূয়ারী ওয়ার্দ্ধায় মহাত্মার সহিত তিন ঘণ্টা আলোচনা করেন এবং উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি হয় এবং গান্ধীজি তাঁহার পরামর্শ দিতে পরাঙ্ম‌ুখ হইবেন না প্রতিশ্রুত হন। তৎপর বার জন সভ্য অকস্মাৎ পদ ত্যাগ পত্র দাখিল করিলেন। সুভাষচন্দ্র একটু সুস্থ হইয়া পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করিলেন। কৃপালনী কংগ্রেস সম্পাদক ছিলেন। তাঁহার পদত্যাগে সমস্ত কার্য্যই সভাপতি ও অবশিষ্ট সভ্য শরৎ বসুর উপর পড়িল।

 ত্রিপুরীতে অধিবেশন— ত্রিপুরী অধিবেশনের মাত্র দশ দিন বাকী আছে। সুভাষচন্দ্র নিউমোনিয়ায় সংশয়াপন্ন পীড়িত। ৬ই মার্চ্চ চিকিৎসকগণের পরামর্শ উপেক্ষা করিয়া এম্বুলেন্স গাড়ীতে হাওড়ায় আসিয়া বোম্বাই মেলে ত্রিপুরী রওনা হন। কংগ্রেসের অধিবেশনের পূর্ব্বে নিখিল ভারত রাষ্ট্রিয় সমিতির অধিবেশনে পণ্ডিত গোবিন্দ পন্থ মহাত্মা গান্ধীর প্রতি ও ১৯২৯ সালের ওয়ার্কিং কমিটির প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করিয়া এবং গান্ধীর সহিত পরামর্শ করিয়া নুতন ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নির্ব্বাচন করিতে অনুরোধ করিয়া একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সুভাষচন্দ্র সভাপতিরূপে আইনতঃ এই প্রস্তাব বিধি বর্হিভূত ঘোষণা করিতে পারিতেন কিন্তু নিজের ব্যাপার বলিয়া উদারতা দেখাইয়া তিনি এই প্রস্তাব উত্থাপনের অনুমতি দেন।