বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 বিদেশে ভারতীয়দিগের হৃদয় সুভাষচন্দ্রের প্রতি কি পরিমাণে আকৃষ্ট হইয়াছিল, তাহা জব্বলপুর ক্যাম্প-জেল হইতে সদ্যমুক্ত সাতজন ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর সৈনিক, এলাহাবাদের বাদসাহীমণ্ডী কংগ্রেস-কমিটীর সম্বর্দ্ধনা-সভায় বিগত ৫ই নভেম্বর (১৯৪৫) সন্ধ্যাকালে বিবৃতিদান-প্রসঙ্গে বলিয়াছেন।

 তাহারা বলিয়াছেন, সুভাষচন্দ্রকে স্বর্ণ-পরিমাপে ওজন করা হইয়াছিল। এই স্বর্ণ দক্ষিণ-পূর্ব্ব এসিয়ায় প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ব্যাঙ্কের সম্পত্তিরূপে গণ্য হইয়াছিল। কেবল তাহাই নহে, বিদেশে সুভাষচন্দ্র এত গভীর সম্মান ও মর্য্যাদা লাভ করিয়াছিলেন যে, তাঁহার গলদেশের একটি সামান্য পুষ্পমাল্যও জনৈক ব্যবসায়ী তাঁহার যথাসর্ব্বস্ব ব্যয়ে, বারো লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করিয়া লইয়াছিলেন! আর কোন এক বক্তৃতা-সভায় নেতাজী সুভাষচন্দ্রের পাদমূলে যে ভক্তির অর্ঘ্য পড়িয়াছিল, তাহার মূল্য সামান্য দু’ একশত টাকা নহে—তাহার মূল্য আট কোটি টাকা!

 দিল্লীর সামরিক আদালতে ক্যাপ্টেন শা নওয়াজ প্রভৃতির বিচারকালে সুভাষচন্দ্রের কতকগুলি টেলিগ্রাম প্রামাণ্য দলিলরূপে গৃহীত হইয়াছিল। সেই সংরক্ষিত টেলিগ্রামগুলিতেও সুভাষচন্দ্রের দৃঢ়চিত্ততা ও স্বাধীনতার উদগ্র আকাঙ্ক্ষা মূর্ত্ত হইয়া উঠিয়াছে।

 ৭।১১।৪৫ তারিখের অমৃতবাজার পত্রিকা হইতে উক্ত টেলিগ্রামগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে উদ্ধৃত হইল।—

 “১৯৪৪ খৃষ্টাব্দের ২১শে জুলাই তারিখে সুভাষচন্দ্র বসু জাপানের প্রধান মন্ত্রী জেনারেল কইসোকে জানাইয়াছেন যে, পূর্ব্ব-এসিয়ার ভারতবাসীরা জাপানের সহিত পাশাপাশি দাঁড়াইয়া জয়লাভ না হওয়া পর্য্যন্ত যুদ্ধ করিতে কৃতসঙ্কল্প।

 অন্য একখানি টেলিগ্রামে সুভাষচন্দ্র জাপানী-প্রতিষ্ঠিত