পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ SSS বৃন্দাবন নিশ্বাস ফেলিয়া বন্ধুর মুখ পানে চাহিয়া বলিল, কেশব, কাল থেকে অহৰ্নিশি যে প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে উঠেচে, এখন বোধ করি, তার জবাব পেলাম–সংসারে একছেলে মরারও প্রয়োজন আছে। কেশব এইমাত্র গালাগালি করিতেছিল, অকস্মাৎ এই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত শুনিয়া অবাক হইয়া রহিল। বৃন্দাবন কহিল, তোমার ছেলে নেই, তুমি হাজার চেষ্টা করলেও আমার জালা বুঝবে না—বোঝা অসম্ভব। এ এমন জালা যে, মহা শক্রর জন্তও কেউ কামনা করে না। কিন্তু এরও দাম আছে কেশব, এখন যেন টের পাচ্চি, খুব বড় রকমের দামই আছে। তাই বোধ হয়, ভগবান এরও ব্যবস্থা করেছেন । কেশব তেমনি নিরুত্তর মুখে চাহিয়া রহিল ; বৃন্দাবন বলিতে লাগিল, এই জ্বালা আমার জুড়িয়ে যাচ্ছিল ওই শিশুদের পানে চেয়ে। আজ আমি সকলের মুখেই চরণের মুখ দেখচি, সব শিশুকেই বুকে টেনে নিতে ইচ্ছে হচ্চে–চরণ বেঁচে থাকৃতে ত একটা দিনও এমন হয় নি । কেশব অবনত মুখে শুনিতে শুনিতে চলিতে লাগিল। পাঠশালার পোড়ো বনমালী ও তাহার ছোট ভাই, জলপান ও জল লইয়া ঘাইতৈছিল, বৃন্দাবন ডাকিয়া বলিল, বনমালী, কোথায় যাচ্ছিস্ রে ? * বাবাকে জলপান দিতে মাঠে যাচ্চি পণ্ডিতমশাই। আমার কাছে একার আয় তোর, বলিয়া নিজেই দুই হাত বাড়াইয়া দিয়ু উভয়কেই এক সঙ্গে বুকের উপর টানিয়া স্ট্র পুরো ভাগরে মুখের পানে চাহিয়া বলিল, আঃ--অঃ বুক জুড়িয়ে গেল রে বনমালী ! কেশব, কাল বড় ভয় হয়েছিল ভাই, চরণকে বুঝি সত্যিই হারাণাম। না, আর ভয় নেই, আর তাকে গণতে ಶ: –6(ಸಿ: ಶಶ: চরণ আমার মিশিয়ে আছে, এদের ভেতর থেকেই একদিন তাকৈ ফিরে পাবে।


------ یہ } i , , , . .بwW