পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ পণ্ডিতমশাই কেশব সভয়ে এ-দিকে ও-দিকে চাহিয়া বলিল, ছেড়ে দাওঁ হে বৃন্দাবন, ওদের মা কি কেউ দেখতে পেলে ভারি রাগ করবে। ও:—তা বটে। আমি চরণকে পুড়িয়ে আসূচি যে ! বলিয়া ছাড়িয়া দিয়া উঠিয় দাড়াইল । বনমালী পণ্ডিতমশায়ের ব্যবহারে লজ্জয় জড়সড় হইয়া পড়িয়াছিল, ছাড়া পাইয়া ভাইকে লইয়া দ্রুতপাদ তদৃশ্ব ইষ্টয়া গেল। " পণ্ডিতমশাই সেইখানে পথের উপর হাটু গাড়িয়া বসিয়া উৰ্দ্ধমুখে হাতজোড় করিয়া বলিল, জগদীশ্বর ! চরণকে নিয়েচ, কিন্তু আমার চোখের এই দৃষ্টিটুকু যেন কেড়ে নিয়ে না। আজ যেমন দেখতে দিলে, এমনি যেন চিরদিন সকল শিশুর মুখেই আমার চরণের মুখ দেখতে পাই। এমনি বুকে নেবার জন্য যেন চিরদিন দুহাত বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারি ! কেশব, শ্মশানে দাড়িয়ে যাঙ্গের গাল দিচ্ছিলে, তারা সকলেই হয় ত জোচোর নন | কেশব হাত ধরিয়া বলিল, বাড়ি চল । চল, বলিয়। বৃন্দাবন অতি সহজেই দাড়াইল । দুই-এক পী অগ্রসর হইয়া বলিল, আজ আমার বাচলত মাপ করে ভাই । কেশব, মনের ওপর বড়, গুরুভার চেপেছিল, এ শাস্তি আমার কেন ?" জ্ঞানত: এমন কিছু গোহত্যা ব্ৰহ্মহত্যা করি নি যে, ভগবান এত বড়" ও সামাকে দিলেন, আমার— ' & কথাটা সম্পূর্ণ না হইতেই কেশব উদ্বতভাবে গজিয়া উঠিল জিজ্ঞেস কর গে ওক্ট হারামজী বুড়ে ঘোষালকে—সে বলবে, তা : স্প-তপের তেজে ; জিজ্ঞেস কর গে, আর এক জোচ্চোরকে, সে বলব, পূৰ্ব্বজন্মের পাপে—উ:—‘এই দেশের ব্রাহ্মণ । - বৃন্দাবন ধীরভাবে বলিল, কেশব, গোখরো সাপের খেলোযকে লাঠির