পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q○ケ ৪। কংগ্রেসের কাৰ্য্যে ইংরেজী ছাড়া উর্দু, ও দেবনাগরী ভাষা ব্যবহৃত হইবে ৫ । এই সভা গোপীনাথ সাহ কর্তৃক মিঃ ডের হত্যায় দুঃখ প্রকাশ করিতেছে এবং ঠাহীর 'পরিবারবর্গকে সমবেদন জ্ঞাপন করিতেছে। বিপথে পরিচালিত হইলেও গোপীনাথের স্বদেশ-প্রেমের কথা এই কমিটি বিশেষভাবে জ্ঞাত আছেন। তথাপি এই হত্যা এবং এবশ্বকার সকল হত্যাই নিন্দনীয়। কংগ্রেসের মূল উদ্বেগু—অহিংস অসহযোগের जहिठ ४ाश्नकण झठांकांप्र्षीब ८कोप्न भिल महे । इंशोष्ठ দেশের আইন-জমান্তের জঙ্ক প্রস্তুত হওয়ার পথে বা ধার স্বষ্টি করা হয় । জাইন-অম্বাস্তেই পবিত্রতম অস্থিত্যাগ সম্ভবপর আর নিরুপদ্রব অবস্থাব্যতীত আইন-আমাদ্যের প্রবর্তন কিছুতেই সম্ভবপর নহে । খ্ৰীযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ সিরাজগঞ্জ কনফারেন্সের প্রস্তাব-অনুযায়ী ঐ প্রস্তাবের একটি সংশোধন-মূলক প্রস্তাব উথাপন করিয়াছিলেন । তিনি বলেন—এই প্রস্তায-সম্পর্কে "আমার উপর অকারণে দোষ দেওয়া হইতেছে এবং ১৮১৮ সালের তিন আইনের হুমকি দেখানে হইতেছে। অন্ততঃ সেই হুমকির জবাব-স্বরূপেও এই সংশোধন প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত।” ভোটে মূল প্রস্তাবই পরিগৃহীত হইয়াছে। ৬ । শিখগণ র্তাহীদের ধৰ্ম্ম-সংক্রান্ত-ব্যাপারে অহিংসার দ্বারা অমুপ্রাণিত হইয়৷ যে-ভাবে আত্মত্যাগের পরিচয় প্রদান করিতেছেন, তাহা বিশেষভাবেই প্রশংসা । ভাইকোম সত্যা গ্রহ— ভাইকোম সত্যাগ্ৰং যথারীতি চলিতেছে। অবস্থার বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয় নাই। সত্যাগ্ৰহ ক্যাম্পে বর্তমানে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক রহিয়াছে। খ্ৰীযুক্ত রাজাগোপালাচারী তামিল নাড়ু এবং অন্ধ দেশের অধিবাসীদিগকে এই আন্দোলনে সাহায্য করিবার জন্ত আহবান করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন যে, ছয় মাসের উপযুক্ত অর্থ এবং স্বেচ্ছ সেবক প্রস্তুত রাখিতে হইবে । ঐ নারায়ণ শুরু উtহার আশ্রম সত্যগ্রহীদিগকে দান করিয়াছেন। সত্যগ্রহীগণ সেইথানে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন । তাহারা যখন নিষিদ্ধ রাস্তায় কাৰ্য্য করিতে না যান, তখন আশ্রমে বসিয়া চরকা কাটা, তুল৷ পেজ প্রভৃতি কাজ করিয়া থাকেন । তাহার নিজেরাই আশ্রম পরিষ্কার করেন, রন্ধন-কাৰ্য্য করেন। বর্তমানে সত্যাগ্ৰহ ক্যাম্পে প্রত্যহ ১২ •, টাকা করিয়া ব্যয় হইতেছে। বিগত ১৩ই জুন তারিখেও ভাইকোমে বথারীতি সত্যাগ্ৰহ চলিয়া ছিল। শ্ৰীমতী রামস্বামী নায়কার ও অঙ্ক দুইজন উচ্চবর্ণের মহিলা স্থানীয় মন্দিরে পূজা দিতে গিয়াছিলেন ; কিন্তু রাস্তায় অস্পৃষ্ঠ জাতির সত্যগ্রহীগণ দাড়াইয়াছিল, তাহারা ঐ রাস্ত দিয়া আসিয়া অপবিত্র হইয়া গিয়াছেন এই অজুহাতে উtহাদিগকে মন্দিরে ঢুকিতে দেওরা হয় নাই, মহিলাগণ বাধা হইয়া মন্দিরের বাহিরেই পূজা-অৰ্চনা করিয়াছেন । অস্পৃশুদিগকে নিষিদ্ধ রাস্ত দিয়া গমন করিবার অধিকার দেওয়া সম্বন্ধে গবর্ণমেন্টের মনোভাব কি তাহ জানিবার জন্ত ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্ন উথাপন করা হইয়াছিল, কিন্তু গবর্ণমেন্ট, সে-প্রশ্নের কোনোরূপ উত্তর দেন নাই। এজন্ত মহাত্মাজী পণ্ডিত মদনমোহন মালধীয়কে ত্ৰিবান্দ্রমে গিয়া যদি কোনো মিটমাটের সম্ভাবনা থাকে সে-সম্বন্ধে কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করিতে অনুরোধ করিয়াছেন ।

  • ठ २७* खून श्रठ छाड्रेकब मठांऑप्श्ड्स नृठन श्रक्षjांझ श्रीब्रछ

প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড হইয়াছে। উচ্চশ্রেণীর হিন্দুগণ সত্যগ্রহের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত করিয়াছেন। তাহারা বলিতেছেন, গবর্ণমেণ্ট, সত্যগ্রহ নিবরণের ব্যবস্থা করিলেন না সুতরাং সাম্প্রদায়িক পবিত্রতা ও অধিকার রক্ষার ভার উtহার নিজেরাই গ্রহণ করিবেন। সত্যাগ্রহের বিস্মৃতিতে উাহীদের ধৈৰ্য্যের বtধ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। স্বেচ্ছাসেবকগণ চর্ক লইয়৷ স্থত। কাটিতে কাটিতে সত্যাগ্ৰহ করিতে বায় । ত্রিবাঙ্কুরে পুলিশ তাহদের নিকট হইতে চবৃক প্রভূতি কাড়িয়া লইয়া তাহ। ভাঙ্গিয়া ফেলিতে মুক্ল করিয়াছে। স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে মার-ধরও বেশ ভালমাত্রীতেই চলিতেছে । ইতিমধ্যেই অনেকে কারাদণ্ডেও দণ্ডিত হইয়াছেন। - অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কোনো বিশেষ প্রতিনিধির নিকট মহাক্স গান্ধী ভাইকম সত্যাগ্ৰহ-সম্বন্ধে নিম্নলিখিত অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন —"সাধারণতঃ আমার মত এই যে, এইসব আন্দোলনের সাফল্য বাহিরের কোনে সহায়তার উপর নির্ভর করে না । কিন্তু বৰ্ত্তমানে অবস্থ৷ যেরূপ দাড়াইয়াছে তাহতে নিখিল-ভারত কংগ্রেসকমিটির পক্ষে একটা হস্পষ্ট ঘোষণা করা দরকার। সংবাদ যদি সত্য হয়, তাহ হইলে বলিতে হইবে ত্ৰিবন্ধুর-রাজ্যের কর্তৃপক্ষ সত্যগ্রহীদিগকে সংস্কারবিরোধী গোড়া সম্প্রদায় কর্তৃক নিযুক্ত গুণ্ডাদের হাতে সমর্পণ করিয়াছেন । গুণ্ডারা যদি সত্যগ্রহীদের প্রহার করে এবং তাহীদের খন্দরের জামা ছিড়িয়া পোড়াইয়া ফেলে তাহা হইলে ব্যাপারটা গুরুতরই বলিতে হইবে । কর্তৃপক্ষ কেন স্বেচ্ছাসেবকদের নিকট হইতে যে চলুক। কাড়িয়া লইতেছেন তাহ কিছুতেই আমার বোধগম্য হইতেছে না । আমি আশা করি ত্রিবাঙ্কুর দরবার পূর্বের স্বায় সংস্কারক ও গোড়ার দলের ভিতর শান্তি-রক্ষা করিতে চেষ্টা করিবেন ।” মহাত্মা গান্ধী ভাইকোম সতiাগ্রহীদের নিকট মিঃ কৃষ্ণস্বামী আয়ারের মারফৎ নিম্নলিখিত বাণী প্রেরণ করিয়াছেন—“সত্যগ্রহে জয় লাভ করিতে হইলে দুইটি জিনিষ চাই—ধৈর্য্য এবং অপরাজেয় সাহস, ধৈয্যের অর্থ অহিংস-ভাব । গোড়ার দল যতই অত্যাচার করুন ন৷ কেন, সত্যাগ্রহীদের সব নীরবে সহ্য করিতে হইবে । সহস বলতে সহ্য করিবার শক্তি বুঝায়। আমার অভিজ্ঞতা হইতে আমি এই বুঝিয়াছি যে, স্কায়ের পক্ষে ভগবানের নাম লইয়া র্যাহার সংগ্রামে অবতীর্ণ হইয়া থাকেন, তাহদের সহ্য করিবার ক্ষমতা বিশেষভাবেই থাকে।” মহাত্মা গান্ধীর ইচ্ছানুসারে কংগ্রেসের কায্যকরী সমিতি ভাইকোম সত্যাগ্রহ-সম্পকে নিম্নলিখিত প্রস্তাবটি গ্রহণ করিয়াছেন —শোনা যাইতেছে গোড় হিন্দুরা সত্যগ্রহীদের উপর অত্যাচার করিবার জন্ত গুও ভাড়া করিয়া আনিয়াছেন। এই গুণ্ডার সত্যাগ্রহীদের উপর নিষ্ঠরভাবে অত্যাচার করিতেছে । কর্তৃপক্ষের উচিত এ-ক্ষেত্রে সত্যাগ্ৰহীদিগকে রক্ষা করা কিন্তু তাহার সে কৰ্ত্তব্য পালন করিতেছেন না । কার্য্যকরী সমিতির বিশ্বাস এ-সংবাদ সত্য নহে। কিন্তু যদি সত্য হয়, তবে সমিতি ত্রিবাঙ্কুর দরবারের নিকট এই অমুরোধ করিতেছেন যে, তাহার বেন গুণ্ডাদের অত্যাচার হইতে সত্যগ্রহীদের রক্ষা করেন । সংবাদ-পত্রের ইতরামি— একখানি সরকারী ইস্তাহারে প্রকাশ যে, পাঞ্জাবের দুইখানি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব গবর্ণমেণ্ট, ফৌজদারী মমূলা আনিবেন বলিয়া স্থির করিয়াছেন । সংবাদ-পত্র ছুইখানি হিন্দু এবং মুসলমান দুই পৃথক সম্প্রদায়ের মুখপত্র । তাছার অনেক দিন হইতেই পরস্পরের ধৰ্ম্ম