পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] কষ্টিপাথর হইয়া চন-পু (জন্তু কিংবা শঙ্কু ) (৪) নামক নরপতির রাজ্যে উপনীত হন এবং বিশেষরূপে সমাদৃত হন। এখানে সিনচে-নামক মন্দিরে এবং অস্তান্ত মন্দিরে তিন বৎসর কাল অতিবাহিত করেন। ইতিমধ্যে চীন দেশীয় রাজদূত ওয়াঙ্গ-হিউয়েন-সে () ভারতবর্ষ হইতে প্রত্যাগমন করিয়া প্রকাশমতির গুণাবলীর কথা বিবৃত করিলে রাজা উক্ত ভিক্ষুকে ফিরাইয়া আনিবার নিমিত্ত তাহাকেই প্রেরণ করেন। প্রকাশমতি নেপাল ও তিবর্ণতের মধ্য দিয়া চীনদেশে প্রত্যাগমন করেন এবং ৬৬৪ খঃ আৰো লে যং নামক রাজধানীতে উপনীত হন। এখানে তিনি স্থানীয় ভিক্ষুগণের নিকট বৌদ্ধশাস্ত্রের সারমর্শ্ব ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করেন এবং তাহারা উহাকে সৰ্ব্বাস্তিবাদ নিয়ে অনুবাদ করিতে অনুরোধ করেণ । এমন সময়ে চীন সম্রাট তাহাকে সাদরে অভ্যর্থনা করেন এবং আয়ুষ্মান লোকায়ত (?) নামক ব্রাহ্মণকে (৬) কাশ্মীর হইতে আনয়ন করিবার জন্ত অনুরোধ করেন । কারণ এই ব্রাহ্মণ অমরত্ব লাভ করিবার ঔষধ জাপিতেন । রাজাজায় প্রকাশমতি আবার ভারতবর্ষ যাত্র করিলেন । আবার পৰ্ব্বত ও মরুভূমি পার হইয়া দুইবার দস্থ্যকর্তৃক আক্রাস্ত হইয়া তিনি সীমান্ত প্রদেশে পৌছিলেন। পথিমধ্যে লোকায়তের সহিত দেখা হইল, তিনি চীন-রাজদূতের সঙ্গে চীনদেশ-অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিলেন। তখন লোকায়ত সকলকে লই অমরত্ব লাভ করিবার ঔবধ আনিবার জন্ত লুয়ে চ (লডক ?) নামক স্থানে যাত্রা করিলেন। ক্রমে ক্রমে কপিশ ও সিন্ধুদেশের মধ্য দিয়া উহার লড়কে পৌছিলেন। তথাকার রাজাপরযু সমাদরে তাছাকে অভ্যর্থনা করিলেন এবং তিন চারি বৎসর কাল তথায় বসবাস করেন। অতঃপর তিনি দক্ষিণাত্যে গমন করিয়া অনেক ঔষধপত্র সংগ্রহ করেন । তথা হইতে বজ্রাসন হইয়া নালন্দা মহাবিহারে উপস্থিত হন। কিন্তু তিনি আর দেশে ফিরিয়া যাইতে পারিলেন না, কারণ নেপালের পথে তিববতীয়ের ও কপিশের পথে আরবেরা বিষম বাধা উপস্থিত করিল। প্রকাশমতি আশা করিয়াছিলেন যে, চীনদেশে ফিরিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রকৃত তথ্যসমূহ জনসমাজে প্রচার করিবেন কিন্তু তাহার আশপূরণ হইল না। অনেকদিন পর্য্যস্ত অপেক্ষা করির অবশেষে ভগ্ন-হৃদয়ে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। ২ । গ্ৰীদেব (তও-হি ) © ইলিও স্থলপথে ভারতবর্ষে আগমন করেন এবং মহাবোধি, নালন্দা কুশীনগর প্রভৃতি স্থান পরিদর্শন করেন। জ্যান-মুও-লুঙ-পো-নামক স্থানের (৭) রাজা তাহাকে সাদরে অভ্যর্থনা করেন। তিনি নালন্দা বিহারে মহাযান শাস্ত্রও কুশীনগরের নিকটবৰ্ত্ত ‘শুভবন বিহারে বিনধুপিটক অধ্যয়ন করেন। অতঃপর তিনি শব্দবিদ্যা শিক্ষা করেন। তিনি একজন সাহিত্যিক ছিলেন। (৪) রাজাeজমু () কোন দেশে রাজত্ব করিতেন এবং সিন্‌ চে নামক মন্দির কোথায় ছিল তাহা ঠিক বলা যায় না। ভিক্ষু প্রজ্ঞাবর্মণের জীবনী ( ৪১ সংখ্যা ) হইতে জানা যায় যে উক্ত মন্দির জ্যান-মুও-লুং-পো (৫) ইনি হৰ্ষবৰ্দ্ধনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে ভারতবর্ষে উপস্থিত হইয়াছিলেন। বিস্তৃত বিবরণ ভিঃ স্মিথের ইতিহাসে দ্রষ্টব্য। (৬) লোকাউ ( অথবা লোকাদিত্য) উড়িষ্যাবাসী ব্রাহ্মণ। ইনি অমরত্ব লাভ করিষার ঔষধ জানিতেন এরূপ প্রসিদ্ধি ছিল। অমর হুইবার লৈাভেই চীন সম্রাট তাহাকে আমিতে পাঠান। ৬৬৮ খৃঃ অব্দে তিনি সম্রাটের দরবারে উপস্থিত হন এবং বিশেষ সন্মানস্বচক উপাধি লাভ করেন । (৭) ৪ পাদ-টীকা দ্রষ্টব্য। 毕 毕 so 事 ७ । छाॉर भिनইনি সমগ্র প্রজ্ঞাশাস্ত্র লিপিবদ্ধ করিতে মনস্থ করিয়৷ জলপথে ভারতবর্ষে যাত্রা করেন। প্রথমে তিনি হে-লিং অর্থাৎ বৰদ্বীপের পশ্চিমভাগে উপস্থিত হন। সেখান হইতে জলপথে মোলোউও বু অর্থাৎ প্যালেম্বাং-এ উপস্থিত হন। সেখান হইতে এক বণিকের জাহাজে ভারতবর্ষে যাত্রা করেন। জাহাজখানি খুব মালপত্রে বোঝাই করা ছিল। গন্তব্য স্থানে পৌছিবার অনতিকাল পূর্বে ভীষণ ঝড় উঠল। তখন জাহাজ রক্ষা অসম্ভব দেখিয়া সকলেই তাড়াতাড়ি জাহাজ সংলগ্ন खांजिtदांt ऍfठैग्नां यां१ रौक्रिांड्रेष्ठ याओं श्ल । छांशtअब्र भाजिक बग्नर বৌদ্ধ ছিলেন, তিনি ভিক্ষু চ্যামিনকে জালিবোটে উঠর প্রাণ বাচাইতে বলিলেন কিন্তু ভিক্ষু রাজি হইলেন না, বলিলেন “অল্প লোককে বাটাও আমার জীবন রক্ষার আবগুক নাই।" তারপর পশ্চিমদিকে ফিরিয়া যুক্ত করে তিনি ভগবান বুদ্ধের উপাসনা করিতে লাগিলেন। জাহাজ ডুবিল সঙ্গে সঙ্গে এই মহাপ্রাণ ভিক্ষু জগতে বৌদ্ধধর্থের অতুল মহিমা ঘোষণা করিয়া পরহিতে প্রাণ বিসর্জন করিলেন। তাছার সঙ্গে এক শিষ্য ছিল, তিনিও গুরুর আদর্শ অবলম্বন করিয়া জীবন বিসর্জন দিলেন । ৪ । মহাযান-প্রদীপ (তাং চেং তেং ) বাল্যকালে পিতামাতার সঙ্গে ইনি জলপথে দ্বারাবতী রাজ্যে () আসিয়াছিলেন। তৎপর তিনি চীনে প্রত্যাগমন করির বেীজপত্র অধ্যয়ন করেন। কিছুকাল পর তিনি জলপথে সিংহলে উপস্থিত হন, সিংহল হইতে দক্ষিণাত্যের মধ্য দিয়া তিনি তাম্রলিপ্তি অভিমুখে বান করেন, এইখানে নদীর মোহানার দস্বারা তাহার নৌকা আক্রমণ করিয়া লুট পাট করে। তিনি কেবলমাত্র প্রাণে বাচিয়া কোন ক্রমে তাম্রলিপ্তি পৌছেন। তথার দ্বাদশ বৎসর পো-লুও-হো ( বরাহ ? ) মন্দিরে বাদ করিয়া সংস্কৃত ভাষার ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। এখানে ইং-সি,এর সঙ্গে উাহীর সাক্ষাৎ হয়। ৫ । সংঘবৰ্ম্ম ईंशंद्र बांनशान नभद्रथन्ग (*) । cयौवप्नई हेनि फ़ैौनरलएण त्रभन করেন । ৬৫৬ ও ৬৬• খ্ৰী: অব্দের মধ্যে কোন সময়ে ইনি চীন সম্রাষ্টের দূতের সঙ্গে ভারতবর্ষে আগমন করেন। বৌদ্ধ গয়ার উপস্থিত হইয়া বজ্রাসনের নিকটে তিনি ভিক্ষুগণের জন্ত এক বিরাট ভোজের ব্যবস্থা করেন। তার পর সাত দিন, সাত রাত্রি ধরিয়া এক বিরাট বৌদ্ধসবের অধিবেশন হয় এবং বঞ্জাসন দ্বীপমালায় সজ্জিত হয়। সংঘবদ্ধই ইহার সমুদয় বার নির্বাহ করেন । তারপর মহাবোধির মন্দির সংলগ্ন উদ্যানে এক অশোক বৃক্ষের পাদমূলে তিনি বুদ্ধ ও অবলোকিতেশ্বরের প্রস্তুরসুপ্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তথা হইতে তিনি চীনদেশে প্রত্যাগমন করেন। অতঃপর তিনি সম্রাটের আদেশে কিয়াওচে (বর্তমান হ্যানয়) গমন করেন। সেখানে তখন ভয়ানক দুর্শিক্ষ। প্রতিদিন অসংখ্য মনুষ্য ও পশু প্রাণত্যাগ করিতেছে। এই দৃপ্ত দেখিয়া সংঘবর্ণের প্রাণ কাদিয়া উঠিল । তিনি প্রতিদিন বুভুক্ষিত নরনারী ও পশুদিগের জন্তু খাদ্য ও পানীর সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন। তাহার মহৎ চরিত্রে মুগ্ধ হইয়া লোকে ৬। প্রজ্ঞাবর্ম (হুই লুয়েন) । (৮) দ্বারাবতী সম্ভবতঃ বর্তমান স্তম রাজ্য। ক্রমে ক্রমে নালন্দা, বৌদ্ধগয়া, বৈশালী, কুশীনগর প্রভৃতি স্থান পরিদর্শন করেন। কুলীনগরে পরিনিৰ্ব্বাণ মন্দিরে তাgার মৃত্যু হয় । © (৯) সংঘবর্থের জঙ্ক কোন নাম উল্লিখিত হয় নাই। ইহা হইতে অনুমান হয় যে সমরখন্দে সংস্কৃত ভাষার প্রচলন ছিল এবং হিন্দু নাম ব্যবহৃত হইত ।