বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as 8 প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ ২৪৭ ভাগ, ১৯ উহাকে বোধিসত্ত্ব আখ্যা.প্রদান করিল। এইখানেই বাট বৎসর বয়সে छैाझान्न धृष्ट्र श्ञ । ইনি কোরিয়ার অধিবাসী। বৌদ্ধ তীর্থসমূহ দেখিবার মানসে ইনি ভারতবর্ষে আগমন করেন এবং দশ বংলর কাল জ্যাণ-মুও-লুও-পে (১০) নামক দেশে দিন-চে-মন্দিরে অবস্থিfত করেন । সম্প্রতি তিনি আরও একটু পূৰ্ব্বে গঙ্কার চও ( ! কিয়েন তু লু চং-চ ) নামে একটি মন্দিরে বসবাস করিতেছেন। অনেক দিন পূর্বে তুরুষ্কেৰ। তাছাদের দেশীয় ভিক্ষুগণের বসবাস করিবার জন্তু এই মন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ করিয়ছিল । মন্দিরটির অনেক ধন ঐশ্বর্যা থাকায় এবং ইহার ৭িধি ব্যবস্থার উৎকর্ষ হেতু ইহা অঙ্গস্থ মন্দিরের শীর্ষস্থানীয় বলিয়া পরিগণিত হইত। উত্তরে তুরস্ক দেশ হইতে ভিক্ষুগণ ভারতবর্ষে আসিলে উহার ४३ भन्मिएद्र दांम क८ब्रन 4द२ ॐIशब्रां इंशद्र 'विशद्र त्राभैौ' (००) वणिग्री পরিগণিত হইতেন । এই তুরস্ক মন্দিরের উপলক্ষে ইৎসিং এই জাতীয় কতকগুলি বিদেশী ভিক্ষু সম্প্রদায়ের মন্দিরের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহার সংক্ষিপ্ত বিৰক্ষণ নিয়ে লিখিত হইল। অপ্রাসঙ্গিক হইলেও এই বিবরণ অতিশয় মূল্যবান কারণ ইহা-দ্বার তৎকালে দূর দেশে দেশাস্তরের ভিক্ষু সম্প্রদায়ের একত্র মিলন সুচিত হইতেছে । ] মহাবোধির পশ্চিমে গুণচরিত (কিষ্ট ন চে-লি-তে ) মন্দির । ইহা কপিগ বাণীর নিৰ্ম্মিত এবং ঐসমুদয় অঞ্চলের ভিক্ষুব ভারতবর্ষে আসিলে এই মন্দিরে বসবাস করে । এ-মন্দিবটিও খুব ঐশ্বৰ্য্যশালী । এগানে বহুসংখ্যক ধৰ্ম্মপ্রাণ ভিক্ষুক বাস করেন, তাহাব সকলেই চীনযানপন্থী। মহাবোধির উত্তর পূৰ্ব্বে কিঞ্চিদধিক দুষ্ট যোঙ্গন দূৰে কিউ লুকিরা (১২) নামে মঠ। পুরাকালে দক্ষিণ দিকে অবহিত কিউ-লু টয়া নামে দেশের রাজা ইহার প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটি সম্পদশালী না হইলেও এখানে বৌদ্ধ ধর্মের নিয়মগুলি খুব নিষ্ঠার সহিত পালিত হইয় থাকে। সম্প্রতি রাজা আদিত্য সেন (১৩) পুৰাতন মঠের পাশ্বেই নুতন একটি মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, ইহা শীঘ্রই শেষ হইবে। দক্ষিণাত্যের ভিক্ষুগণ এদেশে আসিলে বেশীর ভাগ এই মন্দিরেই বাস করেন। প্রায় সকল দেশেরই নিজস্ব একটি মন্দির আছে। কেবল চীন দেশের কোন মন্দি । নাই । ইহাতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয়। নালদের কিঞ্চিদধিক চরণ বোজন পূৰ্ব্বে গঙ্গার উপকূলে মৃগ-শিখা-বন (মি-লি-কিয়-সি চির-পো-নো ) নামে একটি মন্দির আছে। ইহার অনতিদূরে একটি প্রাচীন মন্দিরের ভগ্নাবশেষ দেপিতে পাওয়া যায়। ইষ্টকময়ী ভিত্তি বাতীত আর ইহার বিশেষ কিছুই নাই। ইহাকে চীন মন্দির বলে। বুদ্ধগণের মুখে মুখে বহুকাল হইতে এই প্রবাদ চলিয়া আসিতেছে যে প্রায় পাঁচ শত বৎসবেরও অধিক কাল পূৰ্ব্বে মহারাজ প্রীগুপ্ত (১৪) (চে-fল-কি-তে) চীনদেশীয় ভিক্ষুগণের জঙ্ক এই মন্দিরটি (১০) ৪ পাদটীকা দ্রষ্টব্য। (১১) বিছার-স্বামীগণ’মন্দিরের কর্তৃপক্ষ সম্প্রদায় । মন্দিরের ধন সম্পত্তি ও বিধি ব্যবস্থা তাৰতীয় বিষয়ে তাহাদের সম্পূর্ণক্ষমতা থাকিত। অক্ষান্ত ভিক্ষুগণ কেবল গ্রাসাচ্ছাদন পাইতেন, মন্দিরের কোন বিষয়ে কোন কর্তৃত্ব করিতে পারিতেন না। (১২) সম্ভবতঃ পঞ্চা রাজধানী কঙ্কাই। ইহা তাম্রপনী নদীর তীরে সাগর-সঙ্গমে অবস্থিত ছিল। (১৩) মগধের পরবর্তী গুপ্ত বংশীয় সম্রাট । (১৪) সম্ভবতঃ গুপ্ত সম্রাটগণের আদিপুরুষ শ্ৰীগুপ্ত। নিৰ্ম্মাণ করেন। ঐ সময়ে বিংশাধিক চীন দেশীয় শিক্ষু সং-কাও ( ১৫ ) দেশের ভিতর দিয়া মহাবোধিতে উপস্থিত হন । রাজা শ্ৰীগুপ্ত তাহাদের १**ब्रांग्र१ठाग्न भूझ s३ग्न ठाशमिtश्नग्न बांटमग्न छछ ७ई भग्मिव्र निर्द्वन् করেন এবং ইহার বায় নিৰ্ব্বাহের জন্ত ২৪ খীfন গ্রাম দান করেন। কালক্রমে চীনদেশীয় ভিক্ষুরা এস্থান পরিত্যাগ করিয়াছে। তিন খানি বাদে অস্তান্ত গ্রামগুলিও অন্তেয় হস্তগত হইয়াছে । এক্ষণে ইহা পূর্ব ভারতবর্ষের অধিপতি দেব বৰ্ম্মণের (তি-পোউণ্ড-পো-মে) রাজ্যভুক্ত। তিনি প্রায়ই বলেন যে য দ চীন দেশীর কোন ভিক্ষু এখানে জাসিয়া বসবাস করেন তৰে তিনি মন্দিরটির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত গ্রামগুলি তাহার বায়নিৰ্ব্বাহাৰ্থ দান করিবেন। বজাসন মহাবোধি মন্দি টি সিংহলের রাজা প্রস্তুত করিয়াছেন । সিংহলের ভিক্ষুগণ বহুকাল তথায় বসবাস করিতেছে। মহাবোধি মন্দিরের কিঞ্চিদধিক সাত যোজন উত্তর-পূর্বে নালঙ্গ মন্দির। পুরাকালে উত্তর ভারতবর্যের ভিক্ষু (পি চু) রাজবংশের ( হে লুও চে পান-চে ) জন্তু রাজা শ্রীশক্রাদিত্য ( চেলি-চ-fকরে লুওতিয়ে-তি) ইগ নিৰ্ম্মাণ কবেন । আদিম মন্দিরটি অতিশয় ক্ষুদ্র । মাত্র ৫ ফুট পরিমিত বর্গভূমি ছিল। পরবত্তী রাজগণ ক্রমে ক্রমে ইঙ্গার শ্ৰীবুদ্ধি সাধন করায় এক্ষণে ইহা ভারতবর্যের সর্বোৎকৃষ্ট মন্দিরে পরিণত হইয়াছে। এই বিশাল বিহারের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ প্রদান করা সম্ভবপর নহে। আমি সংক্ষেপতঃ ইহার বিস্তুষ্ঠির একটু আভাস দিব । [ এই খানে ইংসিং ১৩ পৃষ্ঠ বাপী নালন্দার বর্ণনা ও তাহার একটি মানচিত্র সন্নিবেশিত করিয়ছিলেন। মানচিত্রটি এক্ষণে লুপ্ত হইয়াছে । ইংfসংএর ভারতভ্রমণ কাহিনীতেও নালন্দাব বিধিব্যবস্থা সম্বন্ধে অনেক কৌতুহলোদ্দীপক তথ্য আছে। এইসমুদয় একসঙ্গে অন্তত্র আলোচনা কর বাইৰে ] ৭ । তান কোয়াং ইনি সমুদ্র পথে ভারতবর্ষে আগমন করেন। ক্রমে তিনি হরিকেল রাঙ্ক্যে উপস্থিত হন । হরিকেল ( হো-লি-কি লোটও । পুৰ্ব্ব ভারতবর্যের পূর্ব সীমানায় অবস্থিত ( ১৬ )। হরিকেল হইতে যাওয়ার পর আর র্তাহার কোন সংবাদ পাওয়া যায় নাই । সম্ভবতঃ নদীগর্ভে অথবা পৰ্ব্বত-গহবরে তাহার প্রাণবিসর্জন গুইয়াছে । ৮ । হরিকেল দেশীয় একজন ভিক্ষু আমাকে একজন চীনদেশীয় ভিক্ষুর সংবাদ নিবেদন করিল : “এই ভিক্ষুর বয়স পঞ্চাশের উপর। রাঙ্ক তাহাকে অত্যন্ত সমাদর করিতেন । তিনি একটি বিহারের সৰ্ব্বাধ্যক্ষ হইয়াছিলেন। তিনি বহু ধৰ্ম্ম-পুস্তক ও দেবমূৰ্ত্তি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। কিন্তু হরিকেলেই অমৃদ্ধ হইয়া তিনি প্রাণত্যাগ কখেন এবং সেখানেই তাহাকে সমাধিস্থ করা হয়। (১৫) এটি একটি বিশেষ মূল্যবান তথ্য। সংকাও চীনদেশের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। সেখান হইতে ইউনান প্রদেশের ভিতর দিয়া ভারতবর্ষে যাইবার পথ ছিল । ভারতবর্ষ হইতে চীনে যাতায়াতের যত পথ আছে, তন্মধ্যে ইহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা সংক্ষিপ্ত, কিন্তু নানা অসভ্য জাতির বাস হেতু এই পথ অত্যন্ত বিপৎসংকুল ছিল। ক' হিয়ানের ভারত আগমনেরও শতাধিক বৎসর পূৰ্ব্বেও এই পথ দিয়া চীন দেশবাসীরা ভারতবর্ষে যাতায়াত করিত। খ্ৰীষ্ট পূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতেও যে এই পথ ব্যবহৃত হইত, তাহার প্রমাণ বিদ্যমান আছে। সমরাস্তরে এবিষয়ে বিস্তুত আলোচনা করা যাইবে। (১৬) চীনদেশীয় মানচিত্র অনুসারে হরিকেল, তাম্রলিপ্তি ও উৎকল এই দুই দেশের মধ্যস্থলে অবস্থিত। কিন্তু ইংসিংএর বিবরণ অনুসারে ইহা পূর্ববঙ্গের সহিত অভিন্ন বলিয়া অনুমান হয়।