বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২০ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড SAAAAAAASAAAA AAS ASAAAAAAS AAASASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAeAAASAASAASAAAMASMAeMAeAeeAMMeSASAMAeeSASAMeM শাস্ত্রানুসারে অভিজিৎ নক্ষত্রের অধিপতি শিব নহেন, ব্ৰহ্মা । ইহার উত্তর এই, যে, দক্ষপ্রজাপতি ব্ৰহ্মার পুত্র, সুতরাং দক্ষের কস্তাকে ব্ৰহ্মার সঙ্গে বিবাহ দেওয়াটা পুরাণকারের কাছে নিতান্ত ঘরাও বন্দোবস্ত বলিয়৷ বিবেচিত হইয়াছে, ইহাতে কিছু কবিত্বও নাই, দৃষ্টিকটুও বটে। পর্য্যায়ভুক্ত দেবতা শিবের সঙ্গে সতীর বিবাহ ঘটাইয়াছেন। যদিও এরূপ ঘরাও বিবাহ পৌরাণিক যুগের পূৰ্ব্বে- ছিল। মরীচি ও দক্ষ উভয়েই ব্ৰহ্মার পুত্র। তবুও মরীচিপুত্র কগুপ দক্ষের বহু কষ্ঠার পাণিপীড়ন করিয়াছিলেন। কোনই বিবাদ নাই। আসল কথাটা মেযও নয়, ছাগও নয়, কিন্তু উভয়ার্থবোধক অজ । ভাগবতে দেখিতে পাই, দক্ষের পুনৰ্জ্জীবন আদেশ করিয়া মহাদেব বলিতেছেন,—“প্রজাপতেৰ্দগ্ধশকেভিবত্বজমুখং শিরঃ”। শব্দকল্পক্রমে অজশব্দের ব্যাখ্যায় আছে--"অজঃ মেষ ইতি জ্যোতিষম” এবং "অঙ্গঃ ছাগ ইতি মেদিনী"। বৃহজ্জাতক নামক প্রসিদ্ধ জ্যোতিষ গ্রন্থে রাশিগুলির “জজ বৃষভঃ” ইত্যাদি ক্রমে নাম দেওয়া হইয়াছে । সুতরাং মেঘ ছাগ একীর্থবোধক বলিয়া দ্ব্যর্থবোধক অজ প্রথম রাশির নাম হইলে এবং দশমরাশির নাম ছাগ রাখিলে যে বিশেষ গোলযোগের সম্ভাৰন। সেইজন্যই যে হিন্দুগণ Capricornকে মকর করিয়াছেন, আমাদের এই অনুমান নিতান্ত ভিত্তিহীন ন হইতে পারে। তবে এই মকর নাম কি নিতান্তই কাল্পনিক, ন৷ ইহারও কোন ইতিহাস আছে ? অামার বিশ্বাস ইহা নিতাস্ত কাল্পনিক নহে, এই নামকরণের যুক্তিযুক্ত কারণ রহিয়াছে। নানা জাতির রাশিচক্র মিলাইল্প দেখিলে দেখা যায় যে চীন ও ভারত ছাড়া আর সকলেরই দশমরাশি ('apricorn বা ছাগ। চীনের Dolphin মৎস্তবিশেষ, ভারতের মকর। ভারতের রাশিচক্রেও কোনকালে দশমরাশি হয়তো ছাগই ছিল, কেন না, কার্ণেল ষ্টয়ার্টকৃত fra stost attg–(Moor's Hindu Pantheon, Plate XIV III). সাধারণতঃ পঞ্জিকায় দশমরাশি মৎস্তবিশেষ । কিন্তু ছাগল ও মৎস্তে সাদৃপ্ত কোথায়? সাদৃষ্ঠ মূল উপাদানে। পণ্ডিতগণ এরূপ মীমাংসা করিয়াছেন যে রাশিচক্রের উৎপত্তিস্থান বেবিলোন। সেখান হইতে সকলে গ্রহণ করিয়াছেন। বেবিলোনিয়াম দশমরাশি Capricorn. ÈfR কিন্তু এক অভূত छौब । मरडक ७ সম্মুখের পদদ্বয় ছাগের, কিন্তু পশ্চাদ্ভাগ ঠিক আমাদের পঞ্জিকায় অঙ্কিত মকরের অনুরূপ । ভারতের মকর আর ৰেৰিলোনের Capricorn মিলাইয়। দেখিলে সাদৃপ্ত দেখিয়৷ অৰাকৃ হইয়া যাইতে হয় এবং সকলেই বেৰিলোন হইতে গ্রহণ করিয়া থাকিলেও কেন কোথায়ও ছাগ, ८कtथांब्र७ भ९ञ्च उठांश्tब्र७ यौभां२भां शृङ्गेिरठ विलत्र झग्न नl । ऊररु হিন্দুগণের এখানেও বাহাদুৰী আছে। যদিও রাশি আকৃতিতে জলজন্তু এবং সাধারণ নাম মঙ্কর, ইহার অপর একটী নাম মৃগ। পশ্চাদিকের জলজীবত্ব এবং সম্মুখের পশুত্ব দুই-ই ৰজার থাকিয়া যাইতেছে। তারপর অধিপতি দেবতা বিচার করিলে সকল বিবাদই চুৰিয়া যায়। শব্দকল্পক্রম বলেন যে মকররাশির অধিপতি দেবতার নাম "মৃগাঙ্গ মকর ” ইনি কোন দেবতা ? ৰেবিলোনিয়ামূদিগের স্বপ্রাচীন দেবতা (Ea) ইয়া-ছাগমুখী মৎস্ত এবং ইহাই উহাদের দশমরাশির প্রতিকৃতি । তাই তিনি ব্ৰহ্মাকে ছাড়িয়া দিয়া ব্ৰহ্মার সঙ্গে এক । যাউক সে কথা, দক্ষযজ্ঞের এই পৌরাণিক আখ্যান ছাড়া একটা বৈদিক আখ্যানও আছে, তাহাও জ্যোতিষিক রূপক । তাহার স্থান আকাশের ঐ কালপুরুষ যাহা সকলেরই দৃষ্টিগোচর হয়। এ বিষয়ের বিশেষ তত্ত্ব র্যাঙ্গার জানিবার ইচ্ছা তিনি অধ্যাপক যোগেশচন্দ্র রায় প্রণীত “আমাদের জ্যোতিষী ও জ্যোতিষ” গ্রন্থ পাঠ করুন । ৪ । চতুর্থত:, অনেকগুলি উপাখ্যান নিতান্তই কাল্পনিক। শিষ্য গুরুকে জিজ্ঞাসা করিলেন চন্দ্রের হাস বৃদ্ধির কারণ কি ? এবং চন্দ্রের মধ্যস্থিত ঐ কাল দাগগুলিরই বা অর্থ কি ? গুরুর তো চক্ষুস্থির, আসল তথ্য জানা নাই । কিন্তু একটা উত্তর না দিলেও তো শিষ্যের কাছে মান থাকে না । তাই বলিলেন, জান তো দক্ষের ২৭টি কন্যা চন্দ্রের স্ত্রী, চন্দ্র কিন্তু রোহিণীকেষ্ট সৰ্ব্বাপেক্ষা ভালবাসে । ইহাতে অন্তান্ত কন্যার পিতার কাছে এক নালিশ দাথিল করিল। বৃদ্ধ তো চটিয়াই লাল, “কি এত বড় আস্পদ্ধা, আমাকে অপমান” এই বলিয়া চন্দ্রকে শাপ দিলেন, “যা তুই ১৫ দিনের মধ্যে যক্ষারোগে ক্ষয় হইয়া যা” । কন্যার দেখিল ভালরে বিপদ, বাবার কাছে দুঃখ জানাইতে আসিয়া ফল তো হইল বেশ—হিতে বিপরীত, তখন তাহার কাদিয়া বলিল, “বাবা, এ যে আমাদেরই সৰ্ব্বনাশ করিলে ?” তখন দক্ষের ছস হইল, তিনি বলিলেন “তাইতে, চন্দ্র মরিলে যে তোমরা বিধবা হইবে । রাগ চণ্ডাল। তা এক কাজ কর, যাহা বলিয়া ফেলিয়াছি, তাহার তো আর অন্যথা হইবে না, চন্দ্র একপক্ষে ক্ষয় হইয়া নিঃশেষ হইয়া যাইবে, কিন্তু অপর পক্ষে আবার বৃদ্ধি পাষ্টয়া পূর্ণতা লাভ করিবে।” মেয়ের স্থাপ ছাড়ির বাচিল, চুলোয় গেল চন্দ্রের পক্ষপাতিত্বের আবার । এবার কিন্তু চন্দ্রের পালা আসিল । চন্দ্র বলিল, “ঠাকুর, মেয়েদের অনুরোধে তো আমাকে ক্ষয় বৃদ্ধির ঘূর্ণাপাকে ফেলিলে, ত বেশ। কিন্তু আমি যে যক্ষ্মা রোগের যন্ত্রণায় মরি, তার কি ? ইহা অপেক্ষ ক্ষয় হইয়া যাওয়া যে ছিল শতগুণে ভাল।” ব্ৰাহ্মণের ক্রোধ এতক্ষণ নিঃশেষে চলিয়া গিয়াছে, হৃদয়ট ভিজিল, তাই কঁাদ কঁাদ স্বরে বলিলেন, “দেখ, বাবা, বুড় হয়েছি, ভীমরতি ধরেছে, কিসের মধ্যে যে কি করে ফেলি, ঠিক থাকে না, তা বাবা, রাগ করেন ।