বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ পুরুষ গুঞ্জ ধ্বনি করছে। তিনিও সকলের ওপর নিরপেক্ষ ভাবে হাস্তে, স্পর্শে, কটাক্ষে মধুবৰ্ষণ করছেন। তন্ময় হয়ে দেখছিলাম,—এমন সময় বাধা পড়ল । একটা খাবারের গাড়ী পিছন দিক থেকে ঘড় ঘড় ক’রে এসে আমার কাছেই থামূল। গাড়ীটার কাচের জানলা ভেদ ক’রে লুচিগুলির রুক্ষ কঠিন চেহারা চোখে পড়ছে,— যেন বিষ্ণুর স্থদর্শন চক্রের মত। মনে হচ্ছে কত যুগ যুগান্তর ধ'রে ওরা ওখানে অপেক্ষ করছে। বাইরে আসবার জন্যে যেন ওদের আকুলতার অবধি নেই। এই থাবার ওয়ালরা কোম্পানীর লাইসেন্স পাওয়া লোক, মৃতরাং ওরা ষা-কিছু বিক্রী করে সবই অতি উৎকৃষ্ট এবং আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে কল্যাণকর । আবার চলতে আরম্ভ করলুম। এটা ইণ্টার ক্লাস, নাগরা-পরা একটি একুশ বাইশ বছরের মেয়ে স্বামীর সঙ্গেঅত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে চলেছে । কুলীদের ধমক দিয়ে জিনিষপত্রগুলি গাড়ীতে তুলতে সে-ই যেন বেশী তৎপর। দরজার কাজে দাড়িয়ে দুটি লোক আরোহণউৎসুক দরিদ্র যাত্রীদের দেড়া ভাড়ার সম্বন্ধে সচেতন কবছে । আর একটি ছোট্ট গাড়ী,—থার্ড ক্লাস । দরজায় লেখা আছে—‘সার্ভেণ্টস’। দুটি মাত্র লোক হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে, আরামে, নিৰ্ব্বিবাদে। প্রভুর পরিচয় তারা সগৌরবে বহন করছে পেটের ওপর বাধা ক্ষুদ্র একখণ্ড পিতলের চাক্তিতে । তারপর একখানা গরাদ দেওয়া গাড়ী । মাত্র একটি কুকুর-দম্পতি এই কুঠুরীটির যাত্রী। কুকুরটি অতি আদরে তার সঙ্গিনীর মুখ চেটে দিচ্ছে। এত জনসমাগমেও ওদের মিলনের সঙ্কোচ নেই। ওরা যেন ও-দেশের প্রেমিকপ্রেমিকার মিলনের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। মনে হ’ল দরিদ্র দেশের তৃতীয় শ্রেণীর ভদ্র যাত্রীদের চেয়ে সাহেবের খানসাম ও জীব বিশেষ অনেক মুখী। গাড়ী ছাড়বার প্রথম ঘণ্টা বাজল যাত্ৰীসক্স চঞ্চল হয়ে উঠেছে। চা-ওয়ালারা যাদের ধারে চা দিতেছেঃ তাদের কাছ থেকে পয়সা আদায় করবার জন্তু দুটােছুটি ট্রেনে একরাত্রি S(t করছে । এক ভদ্রলোক থাবারওয়ালার কাছ থেকে লুচি মিষ্টি খেয়েছেন, পয়সা দেবার সময় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । গাড়ীর শেষ ঘণ্টা পড়ল। দলে দলে যাত্রী ব্যাকুল হ’য়ে দরজায় দরজায় ছুটে বেড়াচ্ছে, কিন্তু প্রবেশ-পথ অত্যন্ত দুর্গম । ও-পাশ থেকে একজন আধাবয়সী ভদ্রলোক একটি ঘোমট-টানা জড়পদার্থের হাত ধরে ছুটুতে ছুটুতে আসছেন । গাড়ী চলতে আরম্ভ করল। এঞ্জিনের কালে ধোয়ায় আকাশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। ক্রমে গাড়ী প্লাটফরম্ ছাড়িয়ে গেল। দূর থেকে দেখতে পাচ্ছি ভদ্রলোক এখনও পাগলের মত ছুঢ়ছেন। গাড়ী ছুটে চলেছে—উস্কার মত। এঞ্জিনের সামনের সার্চলাইটুট। অন্ধকারের পাহাড়গুলোকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে আমরা যেন মহাশূন্তে মৃত্যুর অভিসারে ছুটে চলেছি। বাইরের দিগন্তবিস্তৃত, নিরাবরণ প্রাস্তর ও তমসাচ্ছন্ন বৃক্ষশ্রেণী তন্ময় হয়ে আমাদের এ নৈশ অভিযানের দিকে চেয়ে অাছে । ঘুমিয়ে পড়েছিলুম,– দাড়িয়ে দাড়িয়েই। ঘোড়ার মত দাড়িয়ে ঘুমোবার অভ্যাস আমার আছে। কতক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম জানি না। হঠাৎ দেখলুম দূরে আকাশের বুকে যেন আগুনের হোলিখেলা চলেছে। বুঝলুম টাটানগরের কাছে এসে পৌছেচি । গাড়ী আরও এগিয়ে চলল। কারখানার ব্লাষ্ট-ফার্ণেসের গহবর থেকে অগ্নির লক্ষ লক্ষ ফণা বাতাসে ছোবল মারছে । ষ্টেশনে যেন দীপালির উৎসব চলেছে। গাড়ী প্লাটফরমে এসে থামলু। ওঠা-নামায় যাত্রীদের মধ্যে রীতিমত একটা সংঘর্ষ বেধে গেল। আমাদের দরজার কাছে বেজায় ভিড় । বাঙ্কের ওপরের গজোদর, বৃহংগুল্ফ ভদ্রলোকটি এতক্ষণে অনেক চেষ্টার পর গাড়ীর মেঝেতে পদার্পণ করলেন। তারপর তার বিশাল দেহ নিয়ে দরজা আটক ক’রে দাড়ালেন। গাড়ী যখন প্রায় ছাড়ে তখন একটি কুড়ি একুশ বছরের ফল ছেলে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে দরজার কাছে এসে मोझांग k*****ोकौ गर्छs ५को संकलाईों कूद्रः,