বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীত শ্ৰীগিরীন্দ্রশেখর বসু পুনর্জন্ম।– হিন্দুশাস্ত্রে পুনর্জন্মবাদ প্রায় সৰ্ব্বত্র স্বীকৃত হইয়াছে। গীতাতেও বহুস্থানে পুনর্জন্মবিষয়ক শ্লোক আছে, যথা – રાર ર, ૨૧, ( ) ; sl6, 8 ૦ ; છા8 ૦-s? : ૧1>છે ; trl : t AAS gggS DDSDDS BKBB S 000S0S AAAA S 0LLLSS এই সকল শ্লোকের তাৎপর্য এই যে ম্যু যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া নূতন বস্ত্র পরিধান করে সেইরূপ দেহী বা আত্মা জীর্ণ দেহ পরিত্যাগ করিয়া নুতন দেহে জন্মলাভ করে। জন্মিলে যেমন মৃত্যু নিশ্চিত, মরিলেও সেইরূপ জন্ম ধ্রুব। আত্মদর্শন হইলে এই জন্মবন্ধন হইতে আত্যন্তিক মুক্তি বা মোক্ষ লাভ হয় । সাধারণ মতুন্তোর এই বিভিন্ন জন্মের কথা মনে থাকে না । এক জন্মের বিকৰ্ম্মের বা দুষ্কৰ্ম্মের ফলে পরজন্মে কষ্টভোগ বা হীনযোনিতে জন্ম হয়, কিন্তু সংকৰ্ম্মের পুণ্যফলে উত্তরোত্তর পর পর জন্মে বুদ্ধির উৎকৰ্ষ সাধিত হয়। পূৰ্ব্বজন্মলব্ধ উন্নতি পরজন্মে বিন আয়াসেই স্বতঃ উপজিত হয় এবং ক্রমশঃ অনেক জন্মান্তরে ব্রহ্মদর্শন হইয় থাকে। এরূপ ব্ৰহ্মজ্ঞানী ব্যক্তি কিন্তু নিতান্তই বিরল। ব্রহ্মলোক ও অপরলোক বাসী সকলেই পুনরাবর্তনশীল, কিন্তু যাহার আত্মদর্শন হইয়াছে তাহার পুনর্জন্ম নাই ; যাগ, যজ্ঞ ইত্যাদিতে স্বৰ্গপ্রাপ্তি হয় বটে, কিন্তু স্বৰ্গভোগ শেষ হইলে জীবকে পুনর্জন্ম লাভ করিতেই হয়। প্রকৃতিজ গুণসঙ্গই আত্মার যোনিম্রমণের কারণ। সত্ত্বগুণ প্রবল থাকিতে যখন দেহধারীর মৃত্যু হয় তখন সে জ্ঞানীদের পবিত্ৰলোক প্রাপ্ত হয় । রজোগুণের প্রাবল্য থাকিলে কৰ্ম্মাসক্তগণের মধ্যে জন্মায় এবং তমোগুণ প্রবল হইলে মূঢ়যোনিতে বা ইতর প্রাণিগর্ভে জন্ম হয় । জীবাত্মা মন-সমেত ছয় ইন্দ্রিয়কে প্রকৃতি হইতে আকর্ষণ করিয়া জন্মগ্রহণ করেন এবং ইহাদিগকে সঙ্গে লইয়াই শরীর ত্যাগ করেন। ইক্রিয় لا لإصميمه) بين o | গণ চক্ষু ইত্যাদি স্থল বস্তু নহে, কিন্তু চক্ষুরাদিস্থানস্থিত স্বক্ষ শক্তি বিশেষ । বৃক্ষ ইন্দ্রিয় ও মন সংযুক্ত জীবাত্মাকে লিঙ্গ শরীর বা স্বক্ষ শরীর বলা হয়। এই লিঙ্গশীরই এক দেহ পরিত্যাগ করিয়া পর জন্মে অন্য দেহ ধারণ করে । মোক্ষ ব্যতীত এই লিঙ্গশরীরের বিনাশ নাই, কিন্তু স্থল দেহের কমফলের বশে ইহার উন্নতি বা অধোগতি হইয়৷ থাকে । গীতায় পুনর্জন্মের কোন প্রমাণ বিচারিত হয় নাই। শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে বলিলেন, তোমার পূৰ্ব্বজন্মের কথা স্মরণ নাই কিন্তু আমার আছে। পুনশ্চ ১৫১০ শ্লোকে বলিলেন, জ্ঞানচক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণই কেবল উৎক্রমণশীল জীবাত্মাকে দেখিতে পান, অন্তে পান না। যিনি আপ্তবাক্যকে গ্রাহ করিবেন তাহার পক্ষে শাস্ত্রই পুনর্জন্মের যথেষ্ট প্রমাণ । গাত ব্যতীত উপনিষদাদিতেও পুনর্জন্ম স্বীকৃত হইয়াছে। কঠোপনিষদে আছে— নানা যোনিতে জনম লাভ করে শরীরার্থ দেহী যত কেহু পায় স্থানু রূপ নিজ নিজ কৰ্ম্মশ্রুতিফল মত। কঠ-৫৭ যাহার আপ্তবাক্যে বিশ্বাস নাই তাহার পক্ষে পুনর্জন্মের প্রমাণ আলোচ্য । পুনর্জন্মবাদ দুই ভাবে বিচারিত হইতে পারে ; এক ঘটনা (fact) হিসাবে আর এক উহ(theory) হিসাবে। যদি আমরা কোন আশ্চৰ্য্য ঘটনা প্রত্যক্ষ করি তবে তাহার সস্তোষজনক কারণ দেখাইতে পারি অার না পারি তাহ স্বীকার করিতে আমরা বাধ্য। কেন পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণী শক্তি আছে তাহ না বলিতে পারিলেও দ্রব্যাদির পতন রূপ ঘটনা আমাদিগকে মানিতে হয়। ঘটনা বলিলে যাহা বুঝি তাহ সমস্তই আমরা প্রত্যক্ষ বা অনুভব করি। ঘটনা সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান সাক্ষাৎ জ্ঞান । গরুর গাড়ি চলিতেছে তাহা দেখিতে পাইতেছি ; কিছু দিন পূৰ্ব্বে বিলাতে উড়োজাহাজ দেখিয়াছি তাহা স্মরণ আছে ; ছেলেবেলায় 犧