বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جولا S99:ు ছন্দ লঘু অথচ বিলম্বিত গতি এইটুকু বিশেষত্বই উচ্চসঙ্গীতের সঙ্গে কবির গানের চালকে পৃথক ক’রে রেখেছে। আধুনিক বাংলা গানে সহজ সাবলীল পদ্ধতির স্বর পাওয়া যায় কিন্তু লয়ের ও ছন্দের এই পার্থক্য না হওয়ায় কবির গানের সমতুল্য ভাব সে-সব গানে আসে না । কম লবণ দিলে ব বেশী লবণ দিলে—এই দু-ভাবেই খাদ্যের স্বাদ নষ্ট হয় । কিন্তু পরিমাণমত লবণ হ’লেই যেমন খাদ্য স্বাদু হয়, তেমনি কবির স্বরের ভাব লয়ের প্রকারভেদেই নষ্ট হবার সম্ভাবনা । ভাবের অনুপাতে ঠিক চালে গীত হ’লেই গানে লাবণ্য প্রকাশ ও নব নব রূপরসের সৃষ্টি হয়ে স্বৰ্গীয় ভাবের উদয় । কীৰ্ত্তনের প্রভাব কবির গানে অতি কম। কীৰ্ত্তনে কথার ভাবের সঙ্গে সঙ্গে স্বরের বা ছন্দেরও পরিবর্তন হয়। কবির গানে ছন্দের পরিবর্তন হয় না, বাউলের মত একচালে গীত হয় । কিন্তু কথার ভাবের সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবী ঠাটের গানে পূরবী ঠাটের বা অন্যান্য যেকোন ঠাটের সুরসংযোজন করা হয়ে থাকে। এরূপ করা উচ্চসঙ্গীতের নিয়মবিরুদ্ধ, কিন্তু উচ্চসঙ্গীতের “রাগমালা’ ও ‘সুরসাগর’ জাতীয় গানে এরূপ সুর-রচনা আছে । কিন্তু কবির গানের স্বরবিন্যাস ঐ-সব গীতের মত নয়, বাউলের মতও নয়, কীৰ্ত্তনের মতও নয়, এট। তার নিজস্ব জিনিষ এবং তা ধ্রুপদ ও বাউলের মিশ্রণে আর কীৰ্ত্তন ও ঠুংরির ফোড়নে স্কট । কবির উচ্চসঙ্গীতের অাদর্শে রচিত গানগুলির সঙ্গে তবলার বা পাখোয়াজের ঠেকা দেওয়া সম্ভবপর। কিন্তু র্তার বর্তমান গানগুলির সঙ্গে সঙ্গত করা অসম্ভব ব্যাপার। তার গানের সঙ্গে ঠেকা দিতে হ’লে খুব বড় তবলচী না পেলে রসম্বষ্টির বদলে রসভঙ্গই হয়। বাউল এবং কীৰ্ত্তনের জন্য যেমন পৃথকৃ পৃথক্ বাদ্যযন্ত্র আছে এবং বিভিন্ন প্রকার ঠেক৷ বাজান হয়, কবির সুরের সঙ্গে সঙ্গতের জন্যও সেরূপ যন্ত্র তৈরি না হোক্ অস্তত অনুরূপ ঠেকার বোল তৈরি করার দরকার হয়ে পড়েছে। লঘু ছন্দের যে-সব তবলার ঠেকা আমাদের উচ্চসঙ্গীতে ব্যবহৃত হয়, কবির গানের চালের ভঙ্গী পৃথক হওয়াতে ঐ সব ঠেকা সব সময় তার গানে ব্যবহার কর। সম্ভবপর হয় না। প্রত্যেক দেশের গানেই এরূপ ঠেকার পরিবর্তন করার দরকার হয়। দিল্লীর ঠেক এক প্রকার, বাংলার বিষ্ণুপুর ঠেক৷ এক প্রকার, আবার ঢাকার ঠেক অন্য আর এক প্রকার, লক্ষ্মেী এবং কাশীর ঠেকা ভিন্ন ভিন্ন প্রকার। প্রত্যেক কেন্দ্রের তবলার ঠেকাই এরূপ বিভিন্ন। গীতের চালু ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় ঠেকার চালু বিভিন্ন করা দরকার হয়ে পড়ে। বিষ্ণুপুর ঠেকা লক্ষ্মেীর গানে ঐক্য করা যায় না, করলেও তত সুন্দর হয় না । রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের ধ্রুপদ-খেয়াল গানে ঢাকার বা বিষ্ণুপুর ঠেকারই ঐক্য হয়। কারণ তার উচ্চসঙ্গীতগুলি বিষ্ণুপুরী চালের। যা-হোক চালু অনুযায়ী নূতন বোল গঠন করে কবির গানে ঠেকা দিলে নূতন রসের দ্বার খুলে যাবে এরূপই মনে হয়। 附险

TV,

i டு হত্যু