পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র বিবিধ প্রসঙ্গ—হিন্দু রাজও নয়, মুসলিম রাজও নয় ৭২১ সে-এ ক্লাসের ছাত্রেরা তাহাকে এই সব বিষয়ে কিছু .fলতে রাজী করিতে পারিলে লাভবান হইবে। শিক্ষা.ান বিষয়ে তাহার দক্ষত আছে। তিনি তৃতীয় শ্রেণীর ঠাত্রছাত্রীদিগকে কীট্‌স ও শেলীর কলেজপাঠ্য ইংরেজী কবিতা কেমন করিয়া বুঝাইয় দিতেন, তাহা আমরা নিজে শুনিয় তাহার শিক্ষানৈপুণ্যের বিষয় জানি। বাংলা এম্-এ ক্লাসের ছাত্রেরা তঁহার কতকগুলি উংকৃষ্ট কবিতা যদি তাহার কাছে পড়িতে চায় এবং তিনি যদি তাহাদিগকে পূড়ান, তাহা হইলে তাহার উপকৃত হইবে । র্তাহার দক্ষিণার কথাটা যে প্রকারে সেনেটের অধিবেশনে আলোচিত হইয়াছিল, তাহ আমাদের পক্ষে পীতিকর হয় নাই । “রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক” দীনেশচন্দ্র সেনের বেতনের অৰ্দ্ধেক পরিমাণ টাকা রবীন্দ্রনাথকে দেওয়া হইবে বলিয়। তাহাকে নীচু দরের এবং দীনেশবাবুকে তার চেয়ে উচু দরের মানুষ মনে করিবে, এমন মূৰ্খ সম্ভবতঃ বাংলা দেশে নাই। তাহ হইলেও টাকা যখন দেওয়াই হইবে, তখন পূরা টাকাই উহাকে দিলে তাহার সম্মান রক্ষিত হইত। কোন কাজ না করিয়া কিংবা রবীন্দ্রনাথ যাহা করিবেন তাহা অপেক্ষা কম কাজ ৪ নিকৃষ্ট কাজ করিয়৷ অন্য কোন কোন অধ্যাপক তার চেয়ে বেশী টাকা পাইয়াছেন । রবীন্দ্রনাথ বস্তুতঃ দীনেশবাবুর জায়গায় নিযুক্ত হন নাই। কিন্তু দীনেশবাবুর বেতনের বাকী অংশে আরও কিছু টাকা যোগ করিয়া যাহাকে তঁহার স্থলে নিযুক্ত করা হইবে, তাহাকে দীনেশবাবুর চেয়ে নীচু দরের লোক কেহ মনে করিলে তাহাকে দোষ দেওয়া চলিবে না । এরূপ একটা অসম্মানকর অকুমান সত্ত্বেও আজকালকার আর্থিক অসচ্ছলতার দিনে এই চাকরি লইবার লোকের অভাব হইবে না । প্রবেশিক পরীক্ষার জন্য এখন হয়ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা ভাষায় অনেক পাঠ্যপুস্তক লেখাইবেন। এরূপ সময়ে ভাষা বিষয়বিন্যাস প্রভৃতি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের উপদেশ বিশেষ কাজে লাগিবে । তৃতীয় শ্রেণীর বন্দীদের জন্য হাতপাখা আইন অমান্য আন্দোলন সম্পর্কে যে সকল লোককে জেলে পাঠাইয়া তৃতীয় শ্রেণীর বন্দী করা হইয়াছে, তাহাদিগকে অনেক রকম দুঃখ ভোগ করিতে হয় । গরমের সময় হাতপাখা না-পাওয়া নিশ্চয়ই একটা অসুবিধা ; কিন্তু তাহ। তাহদের নিদারুণ দুঃখগুলির অন্তর্গত নহে। কিন্তু এ অসুবিধাটা দূর করাও জেলের নিয়মবহির্ভূত। শ্রযুক্ত কিশোরীমোহন চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে স্ত্যর প্রভাসচন্দ্র মিত্র এই কথা বলিয়াছেন । ব্যবস্থাপক সভায় কেহ জিজ্ঞাসা করিয়া দেখিতে পারেন, জেলের নিয়ম অনুসারে কয়েদীরা পরম্পরের গায়ে ফু দিয়া পরস্পরকে ঠাণ্ডা করিতে পারেন কি-না । তাহা নিয়মবিরুদ্ধ ন হইতেও পারে । কোছার কাপড় একটু খুলিয়া তাহ দ্বারা বাতাস করা চলে কি-না, এরূপ একট। ইঙ্গিত করা চলিত ; কিন্তু কয়েদীদিগকে প্রায় জঙ্গিয়ার মত থlট পাজাম পরিতে দেওয়া হয়, তঁহাদের র্কোছ বলিয়া কোন বালাই নাই । মহিলা কয়েদীদিগকে যাহা পরিতে দেওয়া হয়, তাহতে র্তাহীদের ভব্যত রক্ষা হয় না শুনিয়াছি। সুতরাং শাড়ীর অণচলের বাতাস মহিলা বনীর থাইতে পান, মনে হয় না। হিন্দু রাজও নয়, মুসলিম রাজও নয় ব্রিটিশ মন্ত্রীরা ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যবস্থাপক সভার সভ্য পদ গুলি ও অন্যান্য মূল্যবান পদার্থগুলি কিরূপ ভাগবাটোয়ারা করিয়া দিবেন, তাহা শীঘ্রই প্রকাশিত হইবে বলিয়া কিছুদিন হইতে গুজব চলিতেছে। তাহাতে অনেকে বিনিদ্র হইয়াছেন। মুসলমানদের অনেকে বলিতেছেন, প্রধান মন্ত্রী তাহদের চোঁদ দফা দাবি মঞ্জুর না করিলে তাহার। হিন্দু রাজত্ব সহ করিবেন না, এবং এখনও মামুদ গজনবীর বংশধরেরা ও উত্তরাধিকারীর বাচিয়া আছে, তাহার লড়িবে। হিন্দুরাও হয় বলিতেছেন, নয় মনে মনে ভাবিতেছেন, মুসলমান রাজত্ব অসহ হইবে। শিখরা ত একেবারে আগে হইতেই রাগিয়া আগুন ! তাহারা বলিতেছেন, 霉