বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

♥ግ8 & 21-12 to S99ళు কি ঘটিয়াছিল তাহারও কিছু কিছু মনে আছে ; এই সমস্ত জ্ঞানই অনুভবসিদ্ধ। অনুভবের মূলে বাস্তব ঘটনা আছে। পুনর্জন্ম যদি এইরূপ বাস্তব ঘটনা হয় তবে তাহাও অস্তুভবসিদ্ধ হইবে । এই অনুভবসিদ্ধ জ্ঞান ব্যতীত আর এক প্রকার জ্ঞান আছে তাহা অল্পমানসিদ্ধ । সুৰ্য্যের চারিদিকে পৃথিবী ঘুরিতেছে এই ষে জ্ঞান তাহ অনুমানসিদ্ধ ; অনুভব এই অকুমানের বিপরীত সাক্ষ্যই দেয়, কারণ আমরা স্পষ্টই দেখিতে পাই যে স্বৰ্য্যই পুথিবীর চারিদিকে ঘুরিতেছে। তথাপি এক্ষেত্রে অল্পমানকে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য মনে করিবার কারণ এই যে সূৰ্য্য স্থির আছে মানিলে জ্যোতিষিক অনেক ঘটনার সহজ ও সরল ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। পৃথিবী ঘুরিতেছে এই কল্পনা উহ (theory) হিসাবেই গ্রাহ। যদি কোন দিন অপর কোন গ্রহ হইতে কেহ বাস্তবিকই পৃথিবীকে স্বর্ধ্যের চারিদিকে ঘুরিতে দেখে তবে তখন এই ধারণাকে আর উহ বলা চলিবে না ; ইহ। তখন অনুভবসিদ্ধ জ্ঞানেই পরিণত হইবে । বৈজ্ঞানিকদিগকে সৰ্ব্বদাই এইরূপ নানা প্রকারের উহ স্বীকার করিয়া লইতে হয়। যদি পৃথিবীতে বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন প্রকারের স্থখ দুঃখ ভোগ বা বিভিন্ন মচুন্যচরিত্র পুনর্জন্মবাদ দ্বারা সহজে ও সন্তোষজনক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় ও যদি তাহার অপর কোন সঙ্গত কারণ না পাওয়া যায় তবে বিজ্ঞানবিদও পুনর্জন্মবাদ অবশু স্বীকার করিবেন। এই জন্ত পূৰ্ব্বে বলিয়াছি গুনজৰ্ম্মবাদের বিচার দুই দিক দিয়া হইতে পারে। প্রথমে ঘটনা হিসাবে পুনর্জন্মবাদের বিচার করিব । পুনর্জন্ম এমনই একটা ব্যাপার যে তাহার প্রত্যক্ষসিদ্ধ জ্ঞান স্রষ্টার কোন কালেই হওয়া সম্ভব নহে, তবে জাতিস্বরতা অর্থাৎ পূৰ্ব্বজন্মের স্বতি প্রমাণিত হইলে পুনর্জন্মকে অনুভবসিদ্ধ বলিতে হইবে। যদি কোন ব্যক্তি বলে যে তাহার পূৰ্ব্বজন্মের কথা মনে আছে ও যদি এরূপ ব্যক্তির কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় বা তাহার কথার উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে পুনর্জন্ম স্বীকার করিতেই হইবে। जांडिन्द्रब्रड निःनरलग्न थशांचेिष्ठ इeब्रां चडाख छुक्लङ् । জায়রা প্রত্যেকেই চিরকাল বাচিয়া থাকিতে ইচ্ছা করি, কিন্তু নিশ্চিত মৃত্যু হইতে কাহারও নিষ্কৃতি নাই ; কাজেই মৃত্যুই আমাদের শেষ নয়, মৃত্যুর পরেও আমরা থাকিব ও পুনরায় সংসার ভোগ করিব এরূপ ধারণা আমাদের ইচ্ছার অমুকুল বলিয়া বিনা প্রমাণেই তাহ মানিয়া লই । বিশেষতঃ যে এ জন্মে কষ্টভোগ করিতেছে তাহার পক্ষে মুখময় পরজন্মের কল্পনা পরম শান্তিপ্রদ। আমি যদি পূৰ্ব্বজন্মে কি ছিলাম সাধারণকে তাহ হৃদয়গ্রাহী করিয়৷ বলিতে পারি তবে বিনা বিচারেই আমার কথ। অনেকে বিশ্বাস করিবে । এই ভাবে লোককে প্রতারিত করিবার প্রবৃত্তি অনেক সময় সাধু ব্যক্তিদের মধ্যেও দেখা যায় । কখনও এই প্রতারণ অজ্ঞানেই অনুষ্ঠিত হয়, কখনও ব৷ মানসিক ব্যাধির বশে এই ইচ্ছা মনে জাগে তথম রোগী নিজেও স্বকল্পিত কথাকে সত্য বলিয়া বিশ্বাস করে । পরাস্মার ( paramnesia) নামে এক প্রকার. স্মৃতিবিকার আছে যাহার বশে রোগীর মনে কোন নূতন দৃশুকে পূৰ্ব্বজন্মদৃষ্ট বলিয়া সংস্কার জন্মে। এরূপ স্মৃতিবিকারগ্রন্ত রোগী নিজকে সম্পূর্ণ স্বস্ব ব্যক্তি বলিয়া মনে করিতে পারে এবং সাধারণেও তাহার মানসিক বিকার সম্বন্ধে কিছুই বুঝিতে পারে না। অতিশয় সম্মানিত এক সাধুকে আমি এই রোগাক্রান্ত দেখিয়াছি। আমার অনেক বার ‘জাতিস্মরতা অনুসন্ধানের স্থযোগ ঘটিয়াছে, কিন্তু কোন বারেই যথার্থ জাতিস্বরতা দেখি নাই। জাতিস্মরতার যে-সমস্ত লিখিত বিবরণ ৰা প্রমাণ আলোচনা করিয়াছি তাহাতে আমি বলিতে বাধ্য যে জাতিস্মরত নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় নাই । অপর পক্ষে ইহাও বিবেচ্য যে হিন্দুশাস্ত্রে অনেক স্থলে জাতিস্মর ব্যক্তির উল্লেখ আছে । শাস্ত্রকারের কেবল কল্পনার উপর নির্ভর করিয়া এই সকল বর্ণনা করিয়াছেন এরূপ কথা বলা দুঃসাহসিকতার কার্ধ্য। কি প্রমাণ বিচার করিয়া শান্ত্রকারেরা জাতিস্মরত স্বীকার করিয়াছিলেন আমি সে-সম্বন্ধে অজ্ঞ। আধুনিক যুক্তিবাদী বিন-বিচারে শাস্ত্রপ্রমাণ না মানিলে তাহাকে দোষ দেওয়া যায় না । ७थन छेह ( theory) श्निांtव शूनर्जग्रदान बिछांब्र করিব। বিশেষ বিশেষ ঘটনাবলীর কারণ সন্তোষজনকভাবে ব্যাখ্যা করিবার জন্যই উহের কল্পনা। পৃথিবীতে