বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার ছস হ’ল। আমার মুখ থেকে রক্তটা ধুয়ে চলে •এলুম।” * “আর তোমার বাসগৃহের কি হ’ল ?” "আমার স্ত্রী সেখানে আছে। সে-ই আমার কাজ কৰ্ম্ম দেখ বে। এখন ঐ পাজিরা যদি পথে কোনো বিপদে পড়ে ত খুলি হই ।--বিদায় সেমেন, আমি স্থায়বিচার পাবে কি না বলতে পারিনে।” “তুমি সমস্ত পথটা হেঁটেই যাবে নাকি ?” “আমি ষ্টেশনের লোকদের বলব, আমাকে মালগাড়ীতে যেতে দিতে ; আমি কালই মস্কেীয়ে পৌছব ।” দুই প্রতিবাসী পরম্পরের নিকট বিদায় লইয়। নিজেরনিজের পথে চলিয়া গেল । ভাসিলি বহুকাল গৃহছাড়া হইয়া রহিল। তার হইয়া সমস্ত কাজ তা’র স্ত্রীই করিত। কি রাত্রে, কি দিনে সে ঘুমাইত ন—তা’র চেহারা দেখিলে মনে হয়, খুব ক্লাস্ত ও অবসর হইয়া পড়িয়ছে। তৃতীয় দিনে পরিদর্শকের চলিয়া গেলেন ; একটা এন্‌জিন, গার্ডের গাড়ি, দুইট। খাসগাড়ি চলিয়া গেল-ভাসিলি তথনো অনুপস্থিত। চতুর্থ দিনে, সেমেনু ভাসিলির স্ত্রীর সহিত দেখা করিল। তাহার সমস্ত মুখ কাদিয়া-কাদিয়া ফুলিয়া উঠিয়াছে। তাহার চোখ লাল হইয়া উঠিয়াছে । তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল—“তোমার স্বামী ফিল্লুছে कि ?” সে কেবল হাত নাড়িল, একটা কথাও বলিল না । সেমেন যখন বালক ছিল তখন হইতেই সে উইলোকাঠের বঁাশী তৈরী করিতে জানিত। সে বৃন্ত হইতে মজাটা পুড়াইয়া বাহির করিয়া ফেলিত ; ছোটো-ছোটে আঙ্গুল দিয়া যেখানে ছিদ্র করা দরকার, সেইখানে ছিত্র করিত , এইরূপে এমন নৈপুণ্যের সহিত বাণী তৈয়ারী করিত যে, তাহাতে সব স্বরই বাজানো যাইভ । এখন সে তাহার অবসর-মুহূৰ্ত্তে এইরূপ বঁাশী তৈয়ারী করিয়া, তাহার কোনো আলাপী গার্ডের দ্বার, ঐসব বঁাশী সহরে পাঠাইয় দিত। প্রত্যেক বঁাশী একপয়সায় বিক্ৰী হুইত । পরিদর্শনের পর তৃতীয় দিনে, তাহার স্ত্রীকে বাড়ীতে রাখিয়া, সে ৬টার ট্রেন ধরিতে গেল, এবং তা’র চুরী • লইয়া উইলো গাছের কাঠ কাটিবার জন্ত বনে প্রবেশ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ [ २०* डाण, sग ५ १ করিল। সে তাহার বিভাগের শেষ প্রান্তে আসিয়া পড়িল । সেইখানে রাস্তাটা হঠাৎ একটা স্বাক লইয়াছে । আরে; श्रांश भाहेण पूज़ ७का बज्र छलांफूभि श्णि ; उांशश्व চারিধারে তাহার বাণীর উপযোগী বেশ বড়-বড় গুল্ম জন্সিয়াছিল। সেমেন এক গোচ্ছা কাঠি কাটিয়া লইয়া, আবার সেই বনভূমির ভিতর দিয়া ইটিয়া বাড়ী গেল । তখন স্বর্ঘ্য প্রায় অস্তোন্মুখ হইয়াছে। চারিদিকে শ্মশানবং নিস্তব্ধত বিরাজ করিতেছে। কেবল পার্থীদের কিচিমিচি ও বায়ুতাড়িত শুষ্ক বুক্ষশাখার পতনশব্দ শুন। যাইতেছে। আর-একটু গেলেষ্ট রেল-লাইনে পৌছানো যায়। হঠাৎ তাহার মনে হইল, যেন লোহ্বায়ু-লোহায় ঠেকিয়া ঠন্‌ঠন শব হইতেছে। সেমেন্‌ দ্রুতপদে চলিতে লাগিল । মনে-মনে ভাবিল—“এটা কিসের শব্দ হ’তে পারে ?—কেননা সে জানিত ঐ বিভাগে সে-সময় কোনো মেরামতের কাজ হইতেছিল না । সে বনভূমির কিনারায় আসিয়া পড়িল । তাছার সম্মুখে রেলওয়ের বন্ধ খুব উচু হইয়া উঠিয়াছে । সে দেখিল, সেই বাধের মাথায়, লাইনের উপর, একজন লোক উচু হুইয়া বসিয়া কি কাজ করিতেছে। সেমেন ধীরে-ধীরে বাধের উপর উঠিতে লাগিল ; তাহার মনে হইল যেন কেহ “বোণ্ট-নটু’গুলো চুরি করিবার চেষ্টা করিতেছে । তার পর দেখিল, লোকট। উঠিয়া দাড়াইয়াছে । তাহার হাতে একটা বক্রাগ্র শাবল । ছিল ; সে চট করিয়া শাবন্ধটা রেলের নীচে ঢুকাইয়ু দিল এবং একদিকে খুব একটা ঠেলা দিল । সেমেন্‌ চারিদিক অন্ধকার দেখিতে লাগিল । সে স্থাক দিতে চেষ্টা করিল কিন্তু" পারিল না । দেখিল, সেই লোকটা ভাসিলি ; उमिलि बैंitथच्न अन्नु िएक छोरङ ८ छु'उ २क्ला िछाडेझो গড়াইয়া চলিয়াছে । "ভাসিলি ! ভাসিলি ভাই আমার, ফিরে এস ! শাবলট আমাকে দেও! আমি রেলট আবার ঠিক জায়গায় বসিয়ে দিই । কেউই জানতে পারবে না। ফিরে এস, এই মহাপাপ হ’তে আপনাকে বাচাও !” কিন্তু ভাসিলি একবার ফিরিয়াও দেখিল না , সে বরাবর বনভূমির ভিতর চলিয়া গেল ।