পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের জাতীক্স ইতিহাস [ ৮ম অধ্যায় دریاچهها তাহার ও র্তাহ র ভ্রাতাদিগের বংশধরগণ এখনও তথায় বাস করিতেছেন এবং উক্ত সম্পত্তি ভোগ করিতেছেন। মনোহর রায় মৃত্যুর পূর্বে রাজচন্দ্র রায়ের প্রতি দৌহিত্রদিগকে সম্পত্তি দিবার অনুমতি দিয়া যান। মনোহর রায়ের বহু কীৰ্ত্তি এখনও তাহার নাম ঘোষণা করিতেছে । ঘটক শুকদেব সিংহ তাহার প্রশংসায় একটী মনোহরাষ্টক লিখিয়াছেন । তাহা প্রথমেই কারিক প্রসঙ্গে উদ্ধৃত হইয়াছে । তাহ হইতে জানা যায়, রাজা মনোহর রায় প্রত্যহ ভূমিদান করিতেন, এইরূপ ভূমিদান করিতে করিতে র্তাহার শেষ জীবনে এমন অবস্থ হইয়াছিল যে সমস্ত রাজ্য মধ্যে এমন গ্রাম ছিল না যাহার অৰ্দ্ধেক ভূমি তিনি নিষ্কর দান করেন নাই। মৃত্যুকালে তিনি গঙ্গার পশ্চিমকুলে অন্তর্জলে থাকিয়া কুলদেবতা কৃষ্ণদেবকে সম্মুখে রাখিয়া তুলসী অঞ্জলি অর্পণ করিয়া প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন । হিন্দুর একান্ত বাঞ্ছনীয় মৃত্যু রাজ মনোহর রায় লাভ করিয়াছিলেন। সন ১৯৫০ সালে রাজা মনোহর রায় পরলোকগমন করেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে সন ১১৪১ সালের ১৫ই জ্যৈষ্ঠ তারিখে তিনি সাড়াপুলি বা শেওড়াফুলীর বাটীতে শ্ৰীশ্ৰীe/সৰ্ব্বমঙ্গল দেবীর সেবা প্রতিষ্ঠা করেন। তৎপূৰ্ব্বে তাহার পিতা তথায় ঐশ্ৰী৮লক্ষ্মীনারায়ণ ঠাকুরের সেবা প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত সেবা এখনও চলিতেছে। BBBBBBB BB BBBB BBBB BB BBS BBBB BB SBBBBBS BBBS আসন ও সম্মান পাইয়াছিলেন । রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্র রাজী শিবচক্সের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে নিমন্ত্রিত হইয়া রাজা মনোহর রায় কৃষ্ণনগরে গিয়া শিশুটাকে ক্রোড়ে লইয়। তাহার হস্তে মুদ্র বা অলঙ্কারাদি না দিয়া একখানি কাগজ দিয়াছিলেন। উহু! একখানি দানপত্র, নবকুমারকে মৎস্য খাইবার জন্য বিখ্যাত নদীয়া র বিল দান করিয়াছিলেন, তাহার বার্ষিক আয় কয়েক সহস্র মুদ্র । BB BBBB BBBB BB BBBBBB BBBB BB BBS BBBB BB BBBBBB নামে একটা গ্রাম স্থাপনপূৰ্ব্বক তথায় একটা মন্দিরে স্বীয় পিতার একটা প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন ও তাহার সেবা পূজা নিৰ্ব্বাহ জষ্ঠ সন ১৯৪৬ সালের ১৫ই জ্যৈষ্ঠ তারিখে ১২০/ বিঘা ভূমি দান করিয়া গিয়াছেন। এখনও উক্ত পুঞ্জ চলিতেছে। এতদ্ব্যতীত পিতামহের নামে বৈস্তুবাটীতে রাঘবেশ্বর শিব স্থাপন করিয়াছিলেন। মনোহরের পিতৃ পুরুষগণের প্রতি ভক্তি লোকশিক্ষার আদর্শ। মনোহরের পুত্র রাজ রাজচন্দ্র রায় বাল্যকাল হইতেই সংসারে অনাস্থ্যবান ছিলেন । এজন্ত ১৩১৪ বৎসর বয়সেই তাহার বিবাহ দিয়া তাহাকে সংসারে আবদ্ধ রাখিবার চেষ্টা করা হইয়াছিল। তথাপি তিনি গৃহত্যাগে উদ্যোগী হইলে তাহার মত। তাছাকে আরও কিছুকাল অপেক্ষা করিয়া পুত্রমুখ দেখিয়া সংসার ত্যাগ করিতে বলেন। পরে যথাকালে পুত্রের জন্ম হইলে রাজচন্দ্র যখন সংসার ত্যাগের জন্ত মাতার নিকট হইতে অমুমতি প্রার্থনা করিলেন, ভিনি বলিলেন -পুত্র বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে তাহার হস্তে রাজ্য অর্পণ করিয়া সন্ন্যাস গ্রহণ করিও ।