বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

উপক্রমণিকা।

দাও, তাহাতে তোমাদিগের যশঃ ও ধর্ম্ম হইবেক।

 এই কথা শুনিয়া রাজার মনে ত্রাস জন্মিল, কিন্তু কোন উত্তর না করিয়া পদাতিক গণ সমভিব্যাহারে বাটীতে প্রত্যাগমন করিলেন। সমস্ত রাত্রি চিন্তাতে নিদ্রা হইল না। রজনী প্রভাতা হইলে স্নান আত্নিক করণানন্তর সভারূঢ় হইয়া পণ্ডিত ও জ্যোতির্ব্বিদ গণকে ডাকাইয়া রাত্রির সমুদায় বৃত্তান্ত বিজ্ঞাপন করিলেন। দৈবজ্ঞেরা গণনা করিয়া কহিলেন মহারাজ ঐ স্থানে লক্ষ্মী বিরাজমান আছেন। পণ্ডিতেরা বলিলেন ঐ স্থানে অনেক অর্থ থাকা সম্ভব। ইহা শুনিয়া রাজা নগরের তাবৎ খনক আনয়ন করাইলেন, এবং তাহাদিগকে ঐ স্থান খনন করিতে আজ্ঞা দিলেন। খনকেরা গমন করিলে পর রাজা আপন অমাত্য গণকে তথায় প্রেরণ করিলেন, এবং আপনিও পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। খনকেরা কতক মৃত্তিকা খনন করিলে এক খান সিংহাসনের কিয়দংশ দৃষ্ট হইল। তদবলোকনে রাজা সাবধানে মৃত্তিকা খনন করিতে বলিলেন। খনকেরা সতর্কতা পূর্ব্বক খনন করিতে লাগিল। ক্রমে সিংহাসনের চারি পায়া দৃষ্ট হইল। তখন রাজা তাহা উত্তোলন করিতে আজ্ঞা দিলেন। ন্যূনাধিক লক্ষ-সঙ্খ্যক লোক বলপূর্ব্বক সিংহাসন তুলিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু কোন রূপেই তাহা চালিত করিতে পারিল না। ইহাতে এক বিচক্ষণ পণ্ডিত রাজাকে কহিলেন মহারাজ এই সিংহাসন দেবনির্ম্মিত, ইহার নিকট পূজা ও বলিদান না