বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বত্রিশ সিংহাসন।

করিলে কখন উঠিবেক না। এই কথায় রাজা কোটি কোটি মহিষ ও ছাগবলি প্রদান করিলেন, এবং চতুর্দিকে বাদ্যোদ্যম ও জয়ধ্বনি হইতে লাগিল। বলিদানাদির পর সিংহাসন অনায়াসে উঠিল।

 সিংহাসন উত্তোলিত হইলে রাজা তাহা এক উত্তম স্থানে স্থাপন করাইলেন, এবং দেখিয়া অত্যন্ত হৃষ্ট হইলেন। পরে তাহা ধৌত ও পরিস্কৃত হইলে তাহার এমত চাচক্য জন্মিল যে তাহাতে চক্ষুঃ স্থির রাখা কঠিন। যাহারা ঐ সিংহাসনের শিল্পকার্য্য দৃষ্টি করিল তাহারা পরমেশ্বরের অপার মহিমার নানা প্রশংসা করিতে লাগিল। ফলতঃ ঐ সিংহাসনে এমত শিল্পকর্ম ছিল যে তদ্রপ কেহ কখন দেখে নাই, বিশেষতঃ তাহার এক এক দিকে আট আট পুত্তলিকা এবং প্রত্যেক পুত্তলিকার হস্তে এক এক পদ্ম পুষ্প প্রস্ফুটিত ছিল। ঐ সকল পুত্তলির এমত অলৌকিক রূপলাবণ্য যে তদ্দর্শনে দেবতারাও মোহিত হয়েন। কেবল সিংহাসনের স্থানে স্থানে কোন কোন রত্ন অপসারিত হইয়া পড়িয়াছিল, তাহাতে রাজা শিল্প ব্যবসায়ী গণকে আজ্ঞা করিলেন যত অর্থের প্রয়োজন হয় তাহা লইয়া রত্নাদি ক্রয় করিয়া সিংহাসনের পুনঃসৌষ্ঠব কর। এই আজ্ঞা দিয়া রাজা গৃহে গমন করিলেন। সিংহাসনের বৈলক্ষণ শোধন হইতে লাগিল।

 পরে পাঁচ মাস অতীত হইলে সিংহাসনের পুনঃ সৌষ্ঠব হইল। তখন পুত্তলী সকল এমত রূপ ধারণ