বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
বত্রিশ সিংহাসন।

করিয়া, ইহার উত্তর দিতেছি। কিয়ৎকাল পরে রাজা তাহাদিগকে বলিলেন, হে জিতেন্দ্রিয় যোগীন্দ্র এই মনুষ্যদেহ, অগ্নি জলবায়ু ও মৃত্তিকাতে নির্মিত, এই শরীরের প্রধান কর্মকর্তা মন, তাহার মতানুযায়ী হইয়া চলিলে শরীর অনায়াসেই বিনাশ প্রাপ্ত হইতে পারে। কিন্তু জ্ঞানকে অধিক বলবান বলিতে হইবে, কেননা তাহাতে মনের বিকার জন্মিতে দেয় না, সুতরাং যে মনুষ্য জ্ঞানবান, তাহার শরীর নষ্ট হইতে পায় না। পৃথিবীতে জ্ঞানবান, ব্যক্তিই অমর। যোগী যে পর্যন্ত জ্ঞানদ্বারা সনকে বশীভূত করিতে সমর্থ না হয় সে পর্যন্ত তাহার যোগ সিদ্ধ হয় না।

 রাজার এই উত্তর শুনিয়া উভয় সন্ন্যাসী সন্তুষ্ট হইলেন, এবং তন্মধ্যে জন রাজাকে একখান খড়ি দিয়া কহিলেন মহারাজ এই খড়িতে দিবসে যে প্রতিকৃতি লিখিবেন তাহা রজনীতে প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান মূর্তিমান জীব হইবে। ইহা বলিয়া যোগীদ্বয় প্রস্থান করিলেন। দ্ভ

 রাজা খড়ির অদ্ভুত গুণের কথা শুনিয়া মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন কি প্রকারে ইহার পরীক্ষা। হইবে। তৎপরে একটা গৃহে তাবদিবস বসিয়া ভিত্তিতে নানা প্রকার মূর্তি অঙ্কন করিলেন, অর্থাৎ কৃষ্ণ, সরস্বতী ও আর আর অনেক দেবতার মূর্তি লিখিলেন। রাত্রে এই সকল দেবতা মূর্তিমান হইয়া জয়ধ্বনি করিয়া উঠিলেন এবং পরপর কথোপকথন করিতে লাগি-