লেন। রাজা দেখিয়া বিমোহিত হইলেন, কিন্তু ত্রাস প্রযুক্ত কোন কথা কহিলেন না। রজনী প্রভাত হইলে দেবগণ অন্তর্ধান হইলেন। পুত্তলী সকল ভিত্তিতে যেমন চিত্রিত হইয়া ছিল সেই প্রকার রহিল। রাজা দিবাভাগে পুনর্ব্বার সেই ভিত্তির আর এক ভাগে মাতঙ্গ তুরঙ্গ শকট রথ ও সৈন্য ইত্যাদি নানা মূত্তি লিখিলেন। নিশামুখে ঐ সকল সেনা ও পশু জীবন প্রাপ্ত হইল। রাজা তাহা দেখিয়া অত্যন্ত আহলাদিত হইলেন, এবং মনে করিতে লাগিলেন যোগী আমাকে কি অমূল্য সামগ্রী দিয়া গিয়াছেন। নিশা অবসান হইলে ঐ মত্তি সকল নির্জীব হইল। তৃতীয় দিবসে রাজা, গন্ধর্ব্ব ও অসরা গণের মূর্তি লিখিলেন, এবং তাহাদের হস্তে মৃদঙ্গ বীণা রবাব তানপুরা মোচঙ্গ সেতার পিনাক বাসুরি করতাল প্রভৃতি নানা বাদ্যযন্ত্র দিলেন। রাত্রিযোগে ঐ সকল গন্ধর্ব্ব জীবিত হইয়া সঙ্গীত শাস্ত্রানুসারে সঙ্গীতারম্ভ করিল, এবং বাদ্য-যন্ত্রাদির বাদ্য হইতে লাগিল। অপ্সরাগণ নৃত্য ও নানা কৌতুক করিতে লাগিল।
রাজা প্রত্যহ এই প্রকার দিবাভাগে চিত্রাঙ্কন এবং রাত্রিযোগে তাহাদের ক্রীড়াদি দর্শন করিতেন। রাজকার্য্যও করিতেন না, অন্তঃপুরেও যাইতেন না। রাজ মহিষীগণ তাহার কারণ অবধারণে অক্ষম হইয়া আক্ষেপ পূর্ব্বক পরপর এইরূপ কহিতে লাগিলেন, রাজা আমাদিগকে ত্যাগ করিয়া কেবল বাহিরে থাকেন