বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্বিংশ পুত্তলিকা।
১৭১

প্রদর্শন করাইল। রাজা দূতকে বিদায় দিয়া সেই স্থানে প্রচ্ছন্ন ভাবে থাকিলেন।

 ঐ গৃহে একটা গবাক্ষ ছিল, তদ্বারা প্রদীপের আলোক আসিতেছিল এবং ঘরের মধ্যে কখন কখন স্ত্রীলোকটাকে দেখা যাইতেছিল। রাত্রি দুই প্রহর অতীত হইলে রাজা গবাক্ষে একটা ঢেলা মারিলেন। তাহার শব্দ শুনিয়া যুবতী দ্বারের নিকট আসিয়া উকি মারিল, এবং রাজাকে বণিকপুত্র বিবেচনা করিল। পরে, তাহার যে সকল অলঙ্কারাদি ছিল তৎসমুদায় এক খানা বস্ত্রে বন্ধন পূর্ব্বক রাজার নিকটে আসিয়া বলিল আমার অলঙ্কার সকল এই পুঁটলির মধ্যে আছে, ইহা তোমাকে সমর্পণ করিতেছি, তুমি আমাকে লইয়া চল। রাজা বলিলেন আমি তোমাকে এ ভাবে কি প্রকারে লইয়া যাই, তোমার স্বামী বর্তমান আছে, সে যদি জানিতে পারে তবে রাজার নিকটে অভিযোগ করিবে, তাহা হইলে, রাজা আমাদের উভয়ের প্রাণ দণ্ড করিঅতএব অগ্রে তোমার স্বামীকে বিনাশ কর, তৎপরে নিষ্কণ্টক হইয়া উভয়ে সুখ সম্ভোগ করিব।

 এই কথায় যুবতী নিঃশব্দপদসঞ্চারে গৃহ প্রবেশ পূর্ব্বক খজ দ্বারা নিদ্রাভিভূত স্বামীর মস্তক চ্ছেদন তৎপরে বাহিরে আসিয়া রাজার হস্তে অলঙ্কার সকল অর্পণ করিল। রাজা তাহা লইয়া অগ্রে অগ্রে চলিলেন, যুবতী তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। এই প্রকারে নদীতটে আসিয়া রাজা দাঁড়া