বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
বত্রিশ সিংহাসন
৪৪

রাজা তাহার অপ্রসন্ন বদন দর্শনে হাস্য করিতেলাগিলেন, এবং জিজ্ঞাসা করিলেন কল্য তােমাকে প্রফুল দেখিয়া ছিলাম, অদ্য এমত হইয়াছ কেন। ব্রাহ্মণ কহিল মহারাজ আমার দুঃখের কথা কি নিবেদন করিব, আপনি পরােপকারী ও পর-হিতৈযী, এবং পূর্ব্বকালে কর্ণ যেরূপ দাতা ছিলেন এ কালে আপনিও সেইরূপ আমার প্রতি যথেষ্ট দাতৃত্ব প্রকাশ করিয়া ছিলেন। কিন্তু ঐ অট্টালিকাতে প্রেতিনী বা পিশাচী বাস করে, সে আমাকে সমস্ত রাত্রির মধ্যে একবার নয়ন মুদিত করিতে দেয় নাই। আপনকার প্রতাপেই হউক বা আমার সন্তানের ভাগ্যেই হউক কোন প্রকারে প্রাণে প্রাণে বাঁচিয়া আসিয়াছি, বরঞ্চ ভিক্ষা করিয়া উদর ভরণ করিব সেও সহস্র গুণে সুখকর, কিন্তু প্রান্তেও আর তথায় যাইবনা। রাজা এ কথা শুনিয়া হাস্য করিতে লাগিলেন, পরে মন্ত্রীকে আজ্ঞা করিলেন অট্টালিকা নির্মাণে যত টাকা ব্যয় হইয়াছে ইহার মূল্য স্বরূপ তত টাকা ব্রাহ্মণকে দাও। রাজাজ্ঞায় মন্ত্রী গণনা করিয়া তত টাকা ব্রাহ্মণকে দিলেন। ব্রাহ্মণ তাহা শকটপূর্ণ করিয়া লইয়া গেল।

 অনন্তর রাজা বিক্রমাদিত্য এক দিবস ঐ ভবনে শুভ ক্ষণে গমন করিয়া সন্ধ্যার সময় একাকী বসিয়া কোন বিষয় চিন্তা করিতেছেন এমত সময়ে রাজলক্ষ্মী তথায় আগমন পূর্বক তাহার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া