বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম পুত্তলিকা।
৫১

পরে নগর প্রবেশ করিয়া এক অপূৰ্ব অট্টালিকাতে উপস্থিত হইলেন। ঐ অট্টালিকা নারীতে পরিপূর্ণ, পুরুষ মাত্র ছিল না। রাজা দেখিলেন সিংহবতী মণিময় পর্যঙ্কে শয়ন করিয়া আছেন, দাসীগণ প্রহরী স্বরূপ চতুর্দিকে উপবিষ্ট আছে। রাজা পর্যঙ্কে উপবেশন করিয়া সিংহবতীর নিদ্রা ভঙ্গ করিলেন। সিংহবতী গাত্রোখান করিলে পর রাজা তাহার কর ধারণ পূর্ব্বক তাহাকে লইয়া সিংহাসনে বসিলেন। সহচরীগণ সিংহাসনের চতুর্দিকে দণ্ডায়মান হইল। অনন্তর কুসুম-মাল্য আনীত হইল, এবং রাজা বিক্রমদিত্য সিংহবতীকে গন্ধর্ব্ব বিধানে বিবাহ করিলেন। পরে উভয়ে সুখে কাল যাপন করিতে লাগিলেন, এবং চন্দ্রের সহিত কুমুদের যেমন প্রণয় রাজারও সিংহবতীতে সেই প্রকার প্রণয় জন্মিল। রাজা বিক্রমাদিত্য সিংহবতীর প্রেমে প্রমত্ত-চিত্ত হইয়া আপনার রাজ্যপাঠ সকল একবারে বিস্মত হইলেন।

 রাজার প্রমত্তভাব দর্শনে সিংহবতীর এক প্রিয়সখী স্বীয় রাজ্ঞীর বিচার ও দয়ার কথা বলিতে বলিতে এক দিবস রাজাকে কহিল হে মানবেন্দ্র তুমি এখানে আসিয়া মায়াজালে বদ্ধ হইয়াছ, এই ভাবে থাকিলে এখান হইতে জীবদ্দশায় কখন প্রস্থান করিতে পারিবে। ইহাতে আমার অন্তঃকরণে অতিশয় দুঃখ জন্মিতৈছে, কেননা তুমি অতি ধর্ম্মাত্মা দাত ও পােপকারী, তােমার নিজ রাজ্যে তােমার অবর্তমানে লক্ষ