পারে; স্ত্রীলোক, পতি বিদ্যমান থাকিলে, আর বিবাহ করিতে পারে না। নতুবা, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ডের শাস্ত্রীয় প্রতিপন্ন হওয়া সম্ভব নহে। কিন্তু সামশ্রমী মহাশয় লিখিয়াছেন,
"এ স্থলে যে দৃষ্টান্তে জায়াদ্বয় লাভ করিতে পারা যায়, ঐ
দৃষ্টান্ত সমর্থ হইলে শত শত জায়াও লাভ করা যায়। সুতরাং ঐ
দ্বিত্ব সংখ্যা বন্ধুত্বের উপলক্ষণমাত্র” (১৩)।
এই মীমাংসাবাক্যের অর্থগ্রহ সহজ ব্যাপার নহে। যাহা হউক, বেদ দ্বারা যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ডের সমর্থন হওয়া সম্ভব কি না, তাহা তর্কবাচস্পতিপ্রকরণে সবিস্তর আলোচিত হইয়াছে (১৪);[২] এ স্থলে আর তাহার আলোচনা করা নিষ্প্রয়োজন। উল্লিখিত বেদবাক্য, অবলম্বনপূর্ব্বক, যে ব্যবস্থা স্থিরীকৃত হইয়াছে, তৎসমর্থনার্থ, সামশ্রমী মহাশয় মহাভারতের কতিপয় শ্লোক উদ্ধত করিয়াছেন। তাঁহার লিখন এই;—
“এই স্থলে মহাভারতের আদিপর্ব্বান্তর্গত বৈবাহিক পর্ব্বের
কতিপয় শ্লোক উদ্ধৃত করিতেছি এতদ্দৃষ্টে বহুবিবাহপ্রথা কত দূর
সুপ্রচলিত ও শাস্ত্রসম্মত কি শাস্ত্রবিরুদ্ধ? তাহা স্পষ্টই প্রতিপন্ন
হইবে।
যুধিষ্ঠির উবাচ।
“সর্ব্বেষাং মহিষী রাজন্! দ্রৌপদী নো ভবিষ্যতি।
“এবং প্রব্যাহৃতং পূর্ব্বং মম মাত্রা বিশাম্পতে!॥১৬।৯। ২২
“অহঞ্চাপ্যনিবিষ্টো বৈ ভীমসেনশ্চ পাণ্ডবঃ (১৫)।