পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূবৰ্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ J বহু লোকে গৃহাদি নির্মাণ করিয়াছে। অরণ্য মধ্যে ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত ইষ্টক ও প্রস্তরখণ্ড এখনও এই স্বানের প্রাচীন সমৃদ্ধির স্মৃতি বহন করিতেছে। প্রবাদ, গঙ্গারামপুরের কালদীঘি বাণরাজার মহিষী কালরাণীর দ্বারা খনিত। ধলদীঘির আকৃতি দেখিয়া মনে হয় যে ইহা মুসলমান আমলে খনিত। গঙ্গারামপুর হইতে ৬ মাইল দক্ষিণে তালদীঘি নামে একটি প্রকাণ্ড জলাশয় আছে; ইহাকে একটি হ্রদ বলিলেও চলে। ইহা বাণরাজা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বলিয়া কথিত। এই স্থানেও বাণরাজার সমৃতি বিজড়িত ধ্বংসাবশেষ দুষ্ট হয়। বাণগড়ে পালবংশীয় প্রথম মহীপালদেবের একখানি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে; ইহা হইতে জানা যায় যে বাহুবলে তিনি হুত পিতৃরাজ্য উদ্ধার করিয়া “ জবনীপাল ” হইয়াছিলেন। তাম্রশাসন খানির দূতক তাহার মন্ত্রী বামনভট্ট। মহীপাল দীঘি—দিনাজপর হইতে ১৮ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে মালদহ রোড নামক রাস্তার পাশ্বে পালবংশের গৌরব মহারাজা প্রথম মহীপাল দেবের দ্বারা খনিত মহীপাল দীঘি নামক একটি প্রকাও সরোবর আছে। ইহা ৩,৮০০ ফুট লম্বা ও ১,১০০ ফুট চওড়া। ইহার তীরে পূবেৰ্ব দেবালয় ও অট্টালিকাদি ছিল ; এখনও তাহার ধ্বংসাবশেষ ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। এই দীঘিতে প্রকাও প্রকাণ্ড মাগুর মাছ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার পাড়গুলি খুব উচচ ও দূর হইতেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দিনাজপুর জেলার মধ্যে ইহা একটি মনোরম স্থান। ইহার নিকটে মহীপুর নামক গ্রাম অবস্থিত। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে টমাস নামে এক পাদ্রী মহীপাল দীঘির ধারে একটি নীলকুঠি স্থাপন করেন। মহীপাল দীঘি হইতে প্রায় ১০ মাইল দক্ষিণে বংশীহরি থানার অন্তর্গত টাঙ্গন নদীর তীরে মদনাবাটি গ্রামে সুপ্রসিদ্ধ পাদ্রী কেরি সাহেবও একটি নীলকুঠি স্থাপন করেন। এই স্থানে তিনি একটি ছাপাখানা স্থাপন করিয়া একটি ধৰ্ম্ম বিষয়ক বা সাময়িক পত্রিক বাহির করিতেন। কেহ কেহ বলেন ইহাই বাংলার সবর্ব প্রথম ছাপাখানা। দিনাজপুর জংশন হইতে একটি শাখা লাইন দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত ৫০ মাইল দূরবর্তী রুহিয়৷ নামক স্থান পর্য্যন্ত গিয়াছে। rrچه سپهایهاس-- সিতাবগঞ্জ—দিনাজপুর জংশন হইতে ১৮ মাইল দূরবত্তী এই স্টেশনটি চিনির কল, চাউলের কল প্রভৃতির জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। এই স্থানে স্বামী দেবানন্দ নামক জনৈক সাধুর প্রতিষ্ঠিত বাসুদেব ও অন্নপূর্ণার মন্দির আছে। - শিবগঞ্জ—দিনাজপুর জংশন হইতে ৩৭ মাইল দুর। শিবগঞ্জের হাট এ অঞ্চলে বিশেষ প্রসিদ্ধ। স্টেশন হইতে ৮ মাইল পশ্চিমে নেকমরদ গ্রাম। নেকমর্দন্ত নামে একজন মুসলমান সাধুর সমাধি এই স্থানে অবস্থিত বলিয়া ইহার নাম নেকমরদ হইয়াছে। ইহার সম্মানে প্রতিবৎসর &এখানে একটি বৃহৎ মেলা বসে। বাংলা দেশের মধ্যে ইহা অন্যতম বৃহৎ মেলা, গবাদি বহুজন্তু এই মেলায় বিক্রয় হয় ; হাতী, উট, দুম্বাও আসিয়া থাকে। ಡ್ಗಿನ್ನಿಸಿ: আসিত এবং এখানে বিখ্যাত টাঙ্গন বা ভুটিয়া ঘোড়া পাওয়া যাইত । .এই মেগীর লোকশিল্পের নিদর্শন স্বরুপ দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। هیه