পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 वाँ लांग्न बग्नध्नं নেকমরদ গ্রাম হইতে পশ্চিমে পূর্ণিয়া জেলার কিষণগঞ্জ মহকুমার সূৰ্য্য পরগণার দক্ষিণ পৰ্য্যস্ত "মামু ভাগিনার আইল ” নামে একটি সুদীর্ঘ বাঁধ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার সর্বন্ধে গল্প প্রচলিত আছে যে আঙ্গুরবাসা গ্রামের একটি বালিকাকে এক মামা ও তাহার ভাগিনা উভয়েই ভালো বাসিত ও বিবাহ করিতে চাহিয়াছিল ; কথিত আছে যে মামা ও ভাগিনী আঙ্গুরবাসী হইতে বিপরীত দিকে ৩০ মাইল দূরে বাস করিত এবং বালিকার প্রেম লাভার্থ নিজ নিজ স্থান হইতে আঙ্গুরবাল পর্য্যন্ত একটি নূতন পথ নিৰ্মাণ করিতে থাকে ; উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি পথে বালিকার নিকট উপস্থিত হওয়া যে পথে পূবেব কোন মানুষ চলে নাই। অলৌকিক ক্ষমতাবলে এক রাত্রির মধ্যে রাস্ত নিৰ্ম্মাণ করিয়া দুজনে নাকি একই সময়ে বালিকার নিকট উপস্থিত হয় এবং বালিকা মনস্থির করিতে না পারিয়া আত্মহত্যা করে। মতান্তরে পথ প্রস্তুত করিতে এত দেরী হইয়াছিল যে বালিকা অপেক্ষা না করিয়া অন্য একজনকে বিবাহ করে। ঠাকুরগাও রোড–দিনাজপুর জংশন হইতে ৪০ মাইল দূর। স্টেশন হইতে দিনাজপুর জেলার অন্যতম মহকুমা ঠাকুরগাঁও পূবেৰ্ব দিকে প্রায় ৪ মাইল দূর। স্টেশনে ঘোড়ার গাড়ী পাওয়া যায়। ঠাকুরগাও টাঙ্গন নদীর তীরে অবস্থিত; নদীর অপর পারে দিনাজপুরের মহারাজ রমানাথের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ ও তৎপ্রতিষ্ঠিত একটি পুরাতন গোবিন্দ মন্দির দৃষ্ট হয়। রাজা রমানাথ যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই স্থান হইতে পুনর্ভৰা তীরে রাজা প্রণনাথের প্রিয় প্রাসাদ প্রাণনগর পর্য্যস্ত একটি খাল কাটাইয়াছিলেন। ইহা রামদাড়া নামে পরিচিত ও এখনও বর্তমান। প্রাণনগরের কোন চিহ্ন এখন নাই। গোবিন্দ মন্দিরের অনতিদূরে দুই মাইল ব্যাপী একটি জঙ্গল বিদ্যমান ; মধ্যে মধ্যে ইহাতে ব্যাঘ্ৰাদি দৃষ্ট হয়। - রুহিয়া—দিনাজপুর জংশন হইতে ৫০ মাইল দূর। স্টেশন হইতে দুই মাইল উত্তর-পশ্চিমে আলোয়াখোওয়া গ্রাম অবস্থিত। ইহার পাশ্ব দিয়া একটি প্রশস্ত রাজপথ বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশঙ্কৈল, বিন্দোল প্রভূতি হইয়া দক্ষিণে রায়গঞ্জ পর্য্যস্ত গিয়াছে। রাসপূর্ণিমার সময়ে এই স্থানে পক্ষকাল স্থায়ী একটি বিরাট মেলা হয়। এই মেলায় ঘোড়া, উট, গোরু, মহিষ, ছাগল, দুম্বা প্রভৃতি বিক্রয় হয়। বিহার, পাঞ্জাব, ভুটান প্রভৃতি অঞ্চল হইতে বিক্রয়ের জন্য জন্তুগুলি লইয়া আসা হয়। মেলার সময়ে বুহিয়া স্টেশন হইতে মোটর বাস ও গোরুর গাড়ী পাওয়া যায়। উট ও দুম্বা বেশীর ভাগ বকবৃঈদে কুবৰ্বাণীর জন্য ক্রীত হয়। নেকমরদের মেলা হইতেও এই মেলা বড়। বুহিয়া হইতে প্রায় এক মাইল পূর্বদিকে করম খাঁর গড় নামক একটি পুরাতন দুর্গের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয় ; দুর্গটি দেখিলে ইহার সামরিক শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। ইহার উত্তরে ইহার চেয়ে বড় একটি হিন্দু রাজার দুর্গেরও ভগ্নাবশেষ আছে; কথিত আছে দুই পক্ষে বহু দিন ধরিয়া যুদ্ধ হইয়াছিল। বাঙ্গালবাড়ী—কলিকাতা হইতে ২৭৮ মাইল দূর। স্টেশনের পাশ্বে ই একটি চাউলের কল আছে। স্টেশনের ৩ মাইল উত্তরে হেমতাবাদে পীর বদর উদ্দীনের একটি পুরাতন সুন্দর সমাধি আছে; ইহার নির্মাণে হিন্দু বাটীর ভগ্নাবশেষ লওয়া হইয়াছিল ৰলিয়া বোধ হয়। ইহার অনতিদূরে এসেন শাহের তখত নামে একটি চতুষ্কোণ পিরামিড দৃষ্ট হয়, ইহার মধ্যেও দুইটি সমাধি আছে। নিকটে মহেশ রাজার প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষও দৃষ্ট হয়। অনুমিত হয়, সুলতান হুসেন শাহ এই মহেশ রাজাকে পরাজিত করিয়া জয়চিহ্ন স্বরূপ পিরামিডটি নির্মাণ করাইয়াছিলেন। রায়গঞ্জ হইতেও ছেমতবাদে আসা যায়। উত্তর-পূবেৰ্ব ৮ মাইল দূর ও রাস্ত আছে। ।