বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెe বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । [बिउँझ দেখিলে সহজে চক্ষু ফিরাইতে পারা যায় না। ইহা বোধ হয় এরূপে উদ্ভব হইয়া থাকিবে – ব্রাহ্মণ-ভাগের অন্তস্থ জ্ঞানকাণ্ড অপেক্ষ বা সমগ্র ব্রাহ্মণ ভাগ অপেক্ষা মন্ত্রভাগ অতি পুরাতন। উহাই পিতৃপুরুষগণের আদিম ধৰ্ম্মতত্ত্ব। পরবর্তী আর্য্যের জ্ঞানতত্ত্ব আবিস্কার-কালে যদিও মন্ত্রভাগস্থ তত্ত্ব অতিক্রম করিয়া উঠিয়াছিলেন, কিন্তু তাহ বলিয়া মন্ত্রভাগস্থ তত্ত্ব অবহেলা করিতে পারেন নাই ; কারণ কালসহকারে তাহদের এরূপ সংস্কার জন্মিয়াছিল যে মন্ত্রভাগ অপৌরুষেয় । এনিমিত্ত র্তাহীদের তত্ত্বের স্বাতন্ত্র্য-ভাব-প্রবর্তনা দূরে থাকুক, তাহারা তৎসহ মন্ত্রভাগের সামঞ্জস্য সাধন করা অবশ্য কর্তব্য বোধ করিয়াছিলেন। বোধ হয়, তত্ত্বজ্ঞান আলোচনার প্রথম উদ্রেকে র্তাহারা ভৌতিক পদার্থমাত্রের নশ্বরতা অবলোকন করিয়া ইহা সিদ্ধান্ত করিলেন যে, যে সমস্ত নশ্বর বলিয়া পরিদৃশুমান হইতেছে, ক্ষয় বৃদ্ধি ও হ্রাস দেখা যাইতেছে, তাহ। কখন নিত্য পদার্থ বা তদংশ হইতে পারে না । ভৌতিক পদার্থের সূক্ষ হইতে সূক্ষ যতই অনুসন্ধান করিলেন, সমস্তই নশ্বর অবলোকিত হইল। কিন্তু এই দর্শন অনুসরণ করিয়া, দৃশ্ব পদার্থনিচয়ের মধ্যে জীবাত্মা শরীর নষ্টে যদিও নষ্ট অর্থাৎ দৃষ্টিপথ-বহিভূত হয়, তথাপি তাহাকে নশ্বর বলিতে পারিলেন না, যেহেতু মন্ত্রভাগাত্মক বেদে আত্মার অমৃতত্ব কথিত হইয়াছে। সুতরাং আত্মা নিত্য,—নিত্য অর্থে এরূপ অর্থ গ্রহণ করিয়াছিলেন যে, যাহার জন্ম ক্ষয় বা ধ্বংস নাই ; একবার স্বস্ট হইয়া যে অনন্তস্থায়ী হইতে পারে।