বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] ব্রাহ্মণবর্গ। ዻእ” এই সসীমতা এবং অসীমতার একাধারে অবস্থান অসম্ভৰ বোধ করিয়াছিলেন । অতঃপর জীব বহুসংখ্যক, সুতরাং আত্মাও বহুসংখ্যক । এতসংখ্যক নিত্য পদার্থ ঈশ্বর হইতে স্বাধীন ভাবে ব্যক্ত থাকিয়া, অথবা কোন বস্তু নিত্যভাবে যদি ঈশ্বর সহ পাশ্ব স্থ হইয়া অবস্থান করে, তবে ঈশ্বরে আরোপিত গুণ ও মহিমার হ্রাস হয়, কিন্তু তাহাও হইবার নহে ; অতএব জীবাত্মা ও ঈশ্বর এক পদার্থ, বোধ হয় এরূপ সিদ্ধান্ত করা হইল। অনন্তর কার্য্যকারণভাব প্রতি লক্ষ্য করিয়া স্বষ্টির পূর্বাহ্নিক ঈশ্বরের কামনা কল্পিত হইল। ক্ষণদৃষ্ট অনিত্য পদার্থের তত্ত্ব উদ্ভাবনে মায়াতত্ত্ব আবিষ্কৃত হইল। অনন্তর জীবমণ্ডলীতে সকল বিষয়ের অসমতাদর্শনে, মায়াতত্ত্বকে কৰ্ম্মাশ্রয়ী করিয়া, বেদোক্ত পুনর্জন্ম তত্ত্ব, কৰ্ম্মফল, এবং কৰ্ম্মাত্মক মন্ত্রভাগ ও দেহান্তে ভিন্ন ভিন্ন লোকের আবশ্বকতা ও তাহার গৌরব—এই সকল রক্ষা করা হইল। আৰ্য্যগণ বোধ হয় এরূপে সকল দিক রক্ষা করিতে গিয়া অদ্বৈতবাদ এবং আনুসঙ্গিক মায়াবাদ তত্ত্ব উদ্ভাবন করিয়াছিলেন। অদ্বৈতবাদ তত্ত্ব ভাল কি মন্দ, তাহা এখানে আলোচনা করিব না। তবে তৎসম্বন্ধে রামানুজ স্বামীর এরূপ মত যে “নিত্যং স্বয়ং জ্যোতিরনাবৃতোহসাবতীব গুদ্ধোজগদেকসাক্ষী । জীবস্তু নৈবংবিধ এব তস্মাদভেদ বৃক্ষোপরি বজ্রপাতঃ । ন্যস্ত: শ্ৰীপরমেশ্বরস্য কৃপয়া চৈতন্যলেশন্তরি ত্বং তস্মাং পরমেশ্বরঃ স্বয়মহো নায়াতি বক্তং শঠ: "