পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়। ব্রাহ্মণবর্গ। S8\L যাহা বলিয়াছিল, তাহার সার মৰ্ম্ম এই —“আমি তোমাকে তামার বাক্যের দোষ গুণ বিচার করিতে বলি নাই, কেবল তোমার সাহায্য চাহিয়াছিলাম, অতএব আমার প্রতি তোমার এতগুলি বাক্য প্রয়োগে ধৃষ্টত। প্রকাশ হইয়াছে ; যেহেতু রাজা সৰ্ব্ব সময়ে ও সর্ব অবস্থাতেই পূজনীয় ; কারণ । “পঞ্চ রূপাণি রাজানো ধারয়ন্তামিতেীজসঃ। অগ্ৰেরিন্দ্রস্য সোমস্য যমস্য বরুণস্য চ ॥” ৩৪০ —অমিতপ্রতিভাশালী রাজা অগ্নি, ইন্দ্র, সোম, যম ও বরুণ এই পঞ্চ দেবতার রূপ ধারণ করেন।— রাবণের বাক্য দ্বারা এখানেও ইহা প্রতীতি হইতেছে যে, এই দেবত্বরূপ বিশ্বাসের আশ্রয়ে রাজারা কতদূর স্পৰ্দ্ধাযুক্ত হইতে পারে । তদ্ব্যতীত যে কোন ইতিবৃত্ত সাক্ষ্য দিতেছে যে, যে খানে এই বিশ্বাস দৃঢ় প্রবল, ও প্রজাকর্তৃক বাধাদান শিথিল হইয়া আইসে, সেই খানেই রাজা দারুণ দাম্ভিক হইয়া উঠেন। আর্য্যগণের দীর্ঘাধিপত্যের মধ্যে ভারতে দ্বিতীয় জেমূসের ন্যায় একই ভাবে উৎপন্ন-স্বভাববিশিষ্ট অনেক রাজা হইয়াছিলেন তাহার সন্দেহ নাই, কিন্তু জেম্সকে দূরীকারক প্রজার ন্যায় প্রজাও ভারতে ছিল না এমন নহে। আক্ষেপের বিষয় এই যে ভারতীয়ের দূরীকরণের ফলের তেমন মৰ্ম্মজ্ঞ ছিলেন না।—অত্যাচারের নিমিত্ত একজন রাজ্যবিচু্যত হইলে, তাহার উত্তরাধিকারী কিঞ্চিৎ সদ্‌গুণ দর্শাইলেই, প্রজাবৰ্গ তাহাতে তাহাদের কল্পনায়ত্ত রাজদেবত্ব ভামের পরিচয় পাইল জ্ঞান করিয়া, ভবি