বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] ক্ষত্ৰিয়বর্গ। >& No শূদ্র স্থান পাইত কি না, তাহ রামায়ণে ব্যক্ত নাই। (৩৪) কিন্তু ইহাদের যেরূপ গুণাবলী কথিত হইয়াtছ, তাহ। তৎসাময়িক কঠোরশাসনাধীন শূন্দ্রে সম্ভব নহে। স্থানান্তরে কথিত হইয়াছে, হনুমান সুগ্ৰীবের মন্ত্রী, কিন্তু এ উভয়ই বানরজাতি, অনার্য্য ; সুতরাং আর্য্যশাস্ত্রে অধিকার নাই, অথবা থাকিলেও বেদে কখন ছিল না। কিন্তু হনুমান সুগ্ৰীবের আজ্ঞামত রামের নিকট দৌত্যকাৰ্য্য সম্পাদন করিলে, রাম লক্ষণের নিকট হনুমানের প্রশংসা করিয়া কহিতেCछ्न्र "নান্‌গেদবিনীতস্য নাযজুৰ্ব্বেদধারিণঃ। নাসামবেদবিহুষ: শকামেবং বিভাষিতুম্ ॥ নুনং ব্যাকরণং কুৎস্বমনেন বহুধা শ্ৰুতম্। বহু ব্যাহরতানেন ন কিঞ্চিদপশদিতম্ ॥” 8|\o (৩৪) মনুসংহিতাতেও কোন জাতীয় লোক মন্ত্রিপদে অভিষিক্ত হইবে তাহা বিশেষ করিয়া বর্ণিত নাই। ঐ সংহিতার সপ্তম অধ্যায়ে সদ্বংশজাতত্বের উপর এত আগ্রহ প্রকাশ করা হইয়াছে, যে তাহাতে শূদ্রেরা বিন উল্লেখেই বহির্ভূত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়। আবার মহাভারতে দেখা যায় যে, শূদ্রাণীর পুত্র বিদুর ধৃতরাষ্ট্রের মন্বিত্ব পদে অভিষিক্ত । কিন্তু বিছর প্রায় সৰ্ব্বত্রেই দৌত্যকার্য্যে নিযুক্ত হইতেন। দূতও মন্ত্রিপদে পূৰ্ব্বে বাচ্য হইত। বহুগুণসম্পন্ন শূদ্রকেও কখন দৌত্যকার্য্যে নিয়োগ করিতে বোধ হয় সম্পূর্ণ বাধা ছিল না । শাস্ত্রানুসারে সেনাপতিও মন্ত্রিপদে বাচ্য, কিন্তু সেনাপতি সময়ে সময়ে ভিন্ন জাতি হওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়। ফলতঃ গুণের আদর সর্বদাই রদ করা মনুষ্য-প্রকৃতির অসাধ্য। কিন্তু কথা এই শূদ্রের সে গুণ লাভের উপায় এবং অবসর কদাচিৎ পাইতেন, এবং যিনি ভাগ্যক্রমে গুণবান হইতেন, ষ্ঠাহাকে অসীম ৰাধা কাটাইতে হইত।